লকডাউনে কাজ হারিয়েই ভিনরাজ্যে পাড়ি! কুলতলির মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৯
Kultali Accident: রাত ১০ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার জন্য। ১২ টায় খবর আসে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার।
কুলতলি: হাওড়ায় কাজ রাজমিস্ত্রির করতেন শ্রমিকেরা। লকডউনে চলে যায় সেই কাজ। পরিবারের পেট চালানোই দায় হয়ে উঠেছিল। তাই রুটি-রুজির খোঁজেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন তাঁরা। তবে ট্রেন ধরার আগেই সব শেষ। রাতের মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। বারুইপুরের কুলতলির সীমানা বাজারের কাছে ভয়া এই দুর্ঘটনা ঘটে রবিবার রাতে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একই পরিবারের চারজন। শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে উপস্থিত হয়েছেন বিধায়ক গণেশ মণ্ডল।
রবিবার রাতে ওই ২৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক একটি পিক আপ ভ্যানে চেপে হাওড়া স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের পোস্টে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৬ জনের। ১৭ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯। মৃতরা হলেন শহিদ আলি মোল্লা (২৬), মীরজান গাজি (২০), রশিদ আলি গাজি (২২), রফিক শেখ (৫৫), আচন শেখ (২১), জাকির মোল্লা (৩), জামাল মালিক (৫৮), বাবুরালি মিস্ত্রি (৩৫), জাহির মোল্লা। একাধিক পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। সীমানা বাজার সংলগ্ন এলাকায় তাই শোকের ছায়া।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাত ১০ টা নাগাদ খাওয়া দাওয়া করেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন শ্রমিকেরা। রাত ১২ তা নাগাদ তাঁরা দুর্ঘটনার খবর পান। শ্রমিকেরা ট্রেনে খাওয়া জন্য মুড়ি,শশা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে সে সব। তামিলনাড়ুতে কাজে যাওয়ার জন্যই বেরিয়েছিলেন তাঁরা। প্রথমে আহতদের নিমপীঠ গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
ঘটনাস্থলে গিয়ে বিধায়ক গণেশ মণ্ডল জানান, শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের সাহায্য করা হবে প্রশাসনের তরফে। তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারের পাশাপাশি আহতদেরও সাহয্য করা হবে। আরও পড়ুন: ভরসন্ধেয় দমদমে পরপর তিনটে গুলি, লুটিয়ে পড়লেন সুমনা