Mamata-Abhishek: বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে ভাঙড়ে গন্ডগোল পাকিয়েছে: মমতা

CM Mamata Banerjee: এর আগে দু'বার যৌথভাবে নবজোয়ারের মঞ্চে উপস্থিত থেকেছেন মমতা-অভিষেক। প্রথমে মালদা ও শালবনীতে একসঙ্গে দু'জনকে সভা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।

Mamata-Abhishek: বিজেপির থেকে টাকা নিয়ে ভাঙড়ে গন্ডগোল পাকিয়েছে: মমতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2023 | 3:44 PM

যখন চতুর্দিকে অশান্তির খবর, তখন যৌথভাবে কাকদ্বীপে সভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ আগেই কাকদ্বীপে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে দু’বার যৌথভাবে নবজোয়ারের মঞ্চে উপস্থিত থেকেছেন মমতা-অভিষেক। প্রথমে মালদা ও শালবনীতে একসঙ্গে দু’জনকে সভা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। আর এবার নজরে কাকদ্বীপ।

এক নজরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য (সর্বশেষ তথ্য উপরে)

  1. মমতা বলেন, “কংগ্রেস কখনও বিনা পয়সায় চাল দিয়েছে? করোনার সময় ৬ মাস বিজেপি দিয়েছিল। এখন বন্ধ। কিন্তু আমরা এখনও দিচ্ছি। আমার সব টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই জন্য অর্থের অসুবিধা রয়েছে। আমি আস্তে-আস্তে করে দেব।”
  2. মমতা বলেন, “ওরা বলছে প্রতিরোধ করবে। আমি প্রতিবাদ করব। আমার প্রতিবাদ ঝান্ডা হবে। ডান্ডার থেকে ঝান্ডার জোর অনেক বেশি। পঞ্চায়েত না জিতলে স্বাস্থ্যসাথী কে দেবে? চাল বাড়িতে কে পৌঁছে দেবে?”
  3. মমতা বলেন, “যে দলেরই কেউ মারা যাক আমি দুঃখিত। মাত্র দুটো বুথে ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য বলে দিল ঢাল তরোয়াল নিয়ে চলে এস। আরে ক্যাচকলা করবে…”
  4. মমতা বলেন, “ভাষা সন্ত্রাস চলেছে। আমার অভিষেকের নামে কী না বলে…মানবিক থেকে দানবিক হচ্ছ?”
  5. মমতা বলেন, “আমার বাবা স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। অনেক কষ্ট করেছি। আজ পর্যন্ত বলতে পারবে না কেউ এক পয়সা নিয়ে। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাজ করে এক পয়সা নিই না। আমার প্রয়োজন পড়ে না। আমি একা মানুষ। আমার কে খাবে?”
  6. মমতা বলেন, “তৃণমূলের যা সম্পদ রয়েছে কোনও দলের নেই। অন্যদলের আপদ আছে। এই পঞ্চায়েতে চার জনের জমানত বাজেয়াপ্ত করে দিন। নরেন্দ্র মোদীকে চেয়ার থেকে সরাবো।”
  7. মমতা বলেন, “আজ সিপিএম-এর কোলে বিজেপি দোলে। কয়েকজন সংখ্যালঘু ভাঙড়ে গন্ডগোল করেছে। বিজেপি-র থেকে টাকা নিয়েছে। মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। একটা এমএলএ হয়ে বড়বড় কথা।”
  8. মমতা বলেন, “বিজেপি অপদার্থ দল। ওহে নন্দলাল…১১০০টাকার গ্যাসে ফুটছে বিনি পয়সার চাল। ওরা রাস্তা তৈরির টাকা দেয় না।”
  9. মমতা বলেন, “আমি অভিষেককে লিস্ট দিলাম। শুধু ফলতায় কত শিল্প হচ্ছে দেখেছেন।”
  10. মমতা বলেন, “৬১ হাজার বুথ আছে। আর ২ টোয় গন্ডগোল নিয়ে তুমি লাফাচ্ছ। তৃণমূল ৮২ হাজার নমিনেশন দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো দেড় লক্ষ নমিনেশন দিয়েছে। বুঝুন..”.
  11. মমতা বলেন, “বাংলায় মানুষ শান্তিতে আছে। সিপিএম এর আমলে কোন শান্তি ছিল। কংগ্রেস বাংলায় সিপিএম-এর সঙ্গে ঘর করে পার্লামেন্ট আমাদের সাহায্য চাইবে না।”
  12. মমতা বলেন, “কোচবিহারের দিনহাটায় গুলি চালিয়ে একজনকে মেরে ফেলেছিল। উত্তরবঙ্গে গৌতম বর্মণকে বিএসএফ গুলি করে দিয়েছে।”
  13. মমতা বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী তো মণিপুরেও নিয়ে গিয়েছ। ১৫০ এর উপর লোক মরেছে। মন্ত্রীর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। কী করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী?  ২০১৩ সালে ৩৯ জন মারা গিয়েছে। ২০০৩ সালে সিপিএ ম জমানায় ৭০ জন খুন হয়েছিল।”
  14. মমতা বলেন, “বাম-রাম-শ্যাম-গুণ্ডাদাম বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাও। রোজ গিয়ে গিয়ে বলছে তৃণমূল চিমটি কাটছে। কোনও রাজ্যে এত শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছে বিরোধীরা। ভাঙড়ে আমাদের দুজন কর্মী মারা গিয়েছেন। ভাঙড়ের ঘটনা তৃণমূল করেনি। দুটো ঘটনা ঘটেছে। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উচিয়ে রয়েছেডান্ডা দিয়ে লোক পেটাও।”
  15. মমতা বলেন, “করমণ্ডল দুর্ঘটনায় সকলকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছি। বিদ্যুতে-দুর্ঘটনায়-যখন কেউ মারা যায় তখন আমরা সাহায্য করি।”
  16. মমতা বলেন, “সিঙ্গুুর-নন্দীগ্রাম- কইমাছ ঢুকিয়ে মেরে ফেলা…কত অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে সিপিএম-এর সময়ে।”
  17. মমতা বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস করি তাঁদের নিয়ে অনেক জঘন্য শব্দ, কুৎসা প্রচার করা হয়। আমি অভিষেককে ছবি উপহার দেব। অনেকে বলে দিদি এসে ভাইপোকে এমপি করে দিয়েছে। অভিষেক রাজনীতি করে দু’বছর থেকে। ১৯৯০ সালে সিপিএম মেরে চৌচির করে দেয়। হাসপাতাল থেকে বাড়ি আসার পর মা জিজ্ঞাসা করে কীভাবে ঘটল? তখন মার কোলে বসে অভিষেক ঝান্ডা নিয়ে বলত দিদিকে মারলে কেন সিপিএম জবাব দাও। ও মিছিল করত।”
  18. এরপর মঞ্চে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
  19. অভিষেক বলেন, “১০ লক্ষ মানুষকে সংগঠিত করে দিল্লি থেকে টাকা ছিনিয়ে আনব।”
  20. অভিষেক বলেন, “মানুষ যাকে মান্যতা দিয়েছে তাঁকেই আমরা প্রার্থী করেছি। জোড়া ফুলের চিহ্ন যাঁর কাছে থাকবে সেই প্রার্থী। কোথাও কোথাও যদি কেউ নির্দল হয়ে দাঁড়ায় পার্টির সঙ্গে বেইমানি করবে তাঁকে আর তৃণমূলে নেওয়া হবে না।”
  21. অভিষেক বলেন, ” সিপিএম সন্ত্রাস করত। আজকে যাঁরা বলত গণতন্ত্র নেই বাংলায়, তাঁদের বলি জেলা পরিষদে ১০০ শতাংশ মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিরোধীরা। এটাই গণতন্ত্র।”
  22. অভিষেক বলেন, “গাড়ির মাথায় না উঠলে পদপৃষ্ঠ হয়ে যেত। এটাই সৌভাগ্য। এই ষাট দিনে ৪ হাজার ৫৭৮ কিমি পথ কখনও গাড়িতে কখনও পায়ে হেঁটে এসেছি। প্রচুর লোক আর্শীবাদ করেছেন। মানুষ যেমন বরণ করেছেন তেমন আমরাও গোলাপ ফুল ছড়িয়েছি। অস্ত্র নিয়ে হাঁটিনি। ধর্মকে ঢাল করে রাজনীতি করিনি।”
  23. অভিষেক বলেন, “আজ নবজোয়ার বাংলার জন জোয়ারে পরিণত। আমি উপলব্ধি করেছি প্রকৃতির থেকেও সর্বশক্তিমান মানুষ। ঝড়-জল-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই মানুষ রাস্তায় নেমেছে। এই ষাট দিনের অভিজ্ঞতা শোনাব। আমি ষাট দিনে অনেক শিখেছি। আমার রাজনীতি করার দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। মালদায় একটি মন্দিরে পুজো দিতে যাই। সেখানে ১২৭ বছরের বৃদ্ধা দাঁড়িয়ে লাঠি নিয়ে। আমি বললাম এই গরমে কেন দাঁড়িয়ে আছেন। উনি বললেন, আরও বড় হও। আমি চাই বাংলায় আরও ৫০ বছর তৃণমূল থাকুক। যখন ক্ষুদিরাম বসু মারা গিয়েছিলেন তখন আমার বয়স ১২।”
  24. অভিষেক বলেন, “নবজোয়ার নিয়ে বিরোধীরা ব্যঙ্গ করেছিল। বলেছিল অভিষেক ষাট দিন কেন দু’দিনও রাস্তায় থাকতে পারবে না। একদিন সিবিআই নোটিস দিয়ে যাত্রা বিঘ্নিত করেছিল। তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহা। তাকে আঘাত করলে আরও শক্ত হয়।”