TMC: তৃণমূলই মারল তৃণমূলকে! ক্যানিংয়ে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে
Canning: রবিবার সেই বৈঠকে যাওয়ার পথে ক্যানিং থানার মধুখালী সাত নম্বর ঋষিপদ মোড়ে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে পথ আটকে মারধর করার অভিযোগ স্থানীয় কয়েকজন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে।
ক্যানিং: দিদির সুরক্ষা কবচ নিয়ে দলীয় প্রস্তুতি বৈঠকে যাওয়ার পথে তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ দুই কর্মী। মারধর করার এই ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার মধুখালী ৭ নম্বর ঋষিপদ মোড়ে। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ইটখোলা অঞ্চলের মধুখালীতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ডাকে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয় রবিবার সেই বৈঠকে যাওয়ার পথে ক্যানিং থানার মধুখালী সাত নম্বর ঋষিপদ মোড়ে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সহ দুই তৃণমূল কর্মীকে পথ আটকে মারধর করার অভিযোগ স্থানীয় কয়েকজন যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত তৃণমূল কর্মীর নাম শাহ আলম শেখ। ২৪৮ ও ২৪৯ নম্বর বুথের বুথ সভাপতি শাহ আলম। ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য রেহানা বিবির স্বামী তিনি। এর পাশাপাশি তালেম লস্কর নামে অপর এক তৃণমূল কর্মীকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আক্রান্তরা ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় যায় ক্যানিং থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আক্রান্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই হামলার ঘটনায় সরাসরি ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দার ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত উপ প্রধান তথা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি, মূল সংগঠনের নেতা খতিব সর্দার। বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেছেন, “ইন্দ্রজিৎ সর্দার আসলে বিজেপির মদতে চলছে। ও পুরো বিজেপির লোক। কয়েক জন মাতাল, মদখোরদের মদ খাইয়ে আক্রমণ করায়। আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। আমাকে খুনের চেষ্টাও করেছিল।” ঘটনা নিয়ে আহত শাহ আলম বলেছেন, “দলের কর্মসূচিতে বেরিয়ে ছিলাম। সরকারের কাজ নিয়ে মানুষের কাছে যাব বলে বেরিয়েছি। আর যুব তৃণমূলের ইন্দ্রজিৎ আমাদের আক্রমণ করেছে। মারধর করেছে।” তৃণমূলের এই দুই কর্মীই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দার তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। জয়নগর বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেছেন, “ক্যানিংয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরে চলছে। টাকার ভাগ কে নেবে, কার দখলে এলাকা থাকবে এ নিয়ে চলতেই থাকে। এখন ভোট আসার আগে ফের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে।”