Coromandel Train Accident: দুই বৌমা ও এক ছেলের খোঁজ এখনও মেলেনি, ফোনও বন্ধ, আশঙ্কার সুন্দরবনের কর্মকার পরিবার
Coromandel Train Accident: রঞ্জন কর্মকারের একটি পায়ে মারাত্মকভাবে আঘাত লেগেছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। যদিও ছেলে ও দুই বৌমার সঙ্গে শুক্রবার রাত থেকে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি।
ক্যানিং: অন্ধ্রপ্রদেশে ধান রোয়ার জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে শুক্রবার সকালে সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর আনন্দপুর গ্রাম থেকে রওনা দিয়েছিল কর্মকার পরিবারের চার জন। তাঁরা হলেন চঞ্চলা কর্মকারের ভাই রঞ্জন কর্মকার, ছেলে সনৎ কর্মকার ও দুই বৌমা শ্যামলী ও কবিতা কর্মকার। রাতে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার বাড়ির লোকজন খবর পান। তারপর থেকেই ক্রমাগত ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে থাকেন চঞ্চলা ও তাঁর আত্মীয়রা। শুধুমাত্র ভাই রঞ্জন কর্মকারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা গিয়েছে।
রঞ্জন কর্মকারের একটি পায়ে মারাত্মকভাবে আঘাত লেগেছে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। যদিও ছেলে ও দুই বৌমার সঙ্গে শুক্রবার রাত থেকে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। কাল রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি চঞ্চলা।
হতদরিদ্র পরিবারে বড় ছেলে সনৎ ও বৌমারা এক মাত্র উপার্জনশীল। ওই পরিবারের বয়স্কা মহিলা চম্পা কর্মকার ভাই রঞ্জন ও বোনের ছেলে ও বৌমাদের জন্য দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাড়ির সামনে। পাড়া পড়শিরা তাঁকে সুস্থ করার চেষ্টা চালান। দাদার খবর পেলেও ভাগ্না সনৎ ও তাঁদের স্ত্রীর জন্য উৎকন্ঠায় রয়েছেন অনাথ কর্মকার।
ওড়িশার বালেশ্বরে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, মৃতের সংখ্যা ২৩৩। আহতের সংখ্যা ৩০০।