CPIM: হাজার বাধা উপেক্ষা করে দলুয়াখাকিতে ঢুকে পড়ল CPM
CPIM: সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার হাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অর্ডার রয়েছে। সেই অর্ডার আমি জয়নগর থানায় জানাই। ৩৬ ঘণ্টা পর থানার আইসি আমায় জানান এখানে আজ শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে তাই গ্রামে ঢুকতে পারব না।"
জয়নগর: হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছল সিপিএম-এর প্রতিনিধি দল। রয়েছেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক নেতা-কর্মী। কিন্তু আগের বারের মতোই একই ছবি ধরা পড়ল বৃহস্পতিবার। এ দিনও ঢুকতে বাধা দেওয়া হল তাঁদের। সিপিএম সূত্রে খবর, বুধবার রাত্রিবেলাই পুলিশের পক্ষ থেকে বাম নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেইল করে জানানো হয় যেহেতু এখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে সেই কারণে আজ তাঁদের গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। পরে অনেক বাকবিতন্ডার পর ত্রাণ নিয়ে তাদের ঢুকতে দেয় পুলিশ।
সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার হাতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার অর্ডার রয়েছে। সেই অর্ডার আমি জয়নগর থানায় জানাই। ৩৬ ঘণ্টা পর থানার আইসি আমায় জানান এখানে আজ শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে তাই গ্রামে ঢুকতে পারব না।” বামনেতার প্রশ্ন, “আজ ওরা শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করতে দিচ্ছেন। অথচ হাইকোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? একই এলাকায় বিজেপি নেতা ঢোকার জন্য অনুমতি পেয়ে গেলেন আর আমি সিপিএম নেতা যাকে এখানে প্রবেশের জন্য হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হল? ভিতরে-ভিতরে কি গটআপ চলছে?” সায়নের হুঁশিয়ারি, “আজ আমরা যাবই।”
অপরদিকে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপি-তৃণমূলের ক্ষেত্রে বাধা নেই। যত বাধা সিপিএম-এর ক্ষেত্রে?” উল্লেখ্য, তৃণমূল নেতা খুনের পর দলুয়াখাকি গ্রামে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দাউদাউ করে জ্বলে যায় গ্রাম। ঘর ছাড়া হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। এরপর পরপর দুবার ত্রাণ নিয়ে সেখানে এসে পৌঁছন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাম প্রতিনিধি দল। এরপর এলাকায় ঢুকতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ আইনজীবী তথা বাম তৃণমূল নেতা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি মান্থা নির্দেশ দেন চারজন পুলিশের উপস্থিতিতে চার প্রতিনিধি দল নিয়ে দলুয়াখাকিতে প্রবেশ করে ত্রাণ বিতরণ করতে পারবেন সিপিএম সদস্যরা। যেহেতু একাধিক বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাই যাতে এলাকাবাসী পুনরায় বাড়ি বানাতে পারেন সেই কারণে ত্রাণ হিসাবে, বাঁশ, অ্যাসবেস্টার, খাদ্যদ্রব্য সমস্ত কিছু দেওয়া হয়।