ডায়মন্ড হারবার: নিজের সাংসদীয় এলাকায় এবার বাড়তি নজর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। অভিষেকের সাংসদীয় এলাকায় স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্তও বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে। এদিন নিজেই সেই কথা জানালেন অভিষেক। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ঘিরে রোগী হয়রানির কথা তুলে ধরে অভিষেক বলেন, ‘কেউ যদি সিদ্ধান্ত নেয়, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দিলে মানুষকে পরিষেবা না দিয়ে, খালি হাতে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে, এই কাজ যারা করবে, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, প্রয়োজনে যেন তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।’ এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নোদাখালিতে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন অভিষেক। সেই বৈঠক শেষেই এই কথা জানালেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘অনেক হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড গ্রহণ করছে না, রোগী ফিরিয়ে দিচ্ছে। আমরা একটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিন সিএমওএইচ ও জেলাশাসককে আমি অনুরোধ করেছি, যেসব হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে।’ এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার জন্য বলেন অভিষেক।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও স্বাস্থ্যসাথী সংক্রান্ত বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারির কথা শোনা গিয়েছিল। কিছু কিছু হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পেতেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে যাতে লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
এর পাশাপাশি ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই নিজের সাংসদীয় এলাকায় সব জায়গায় নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার টার্গেটের কথা শোনালেন তিনি। এছাড়া ‘এক ডাকে অভিষেক’ কর্মসূচিতে যাঁরা যাঁরা ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাজ যাতে দ্রুত করে দেওয়া যায়, সেই কথাও এদিন জানালেন অভিষেক। বললেন, ‘যাঁরা ফোন করেছিলেন, তাঁদের কাজ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’
ডায়মন্ড হারবার এলাকায় বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষ রাস্তা তৈরি জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই অনুরোধের ভিত্তিতে, সাংসদ তহবিলে যে ৫ কোটি টাকা করে আসে, সেই টাকা থেকে ১১০টি রাস্তা তৈরি হবে বলে এদিন আশ্বাস দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি আরও ৭৫০ রাস্তা জেলা প্রশাসনের তরফে আগামী দিনে তৈরি করা হবে। বর্ষার আগেই শুরু হবে এই রাস্তা তৈরির কাজ। অভিষেকের টার্গেট, যাতে পুজোর আগেই এই রাস্তাগুলির কাজ শেষ হয়ে যায়।