Magrahat Murder Case: চাকরির নামে লাখ লাখ টাকার প্রতারণা থেকে ভুয়ো এয়ারলাইন্স… চিনে নিন মগরাহাটের জোড়া খুনে অভিযুক্ত জানে আলমকে
Magrahat Civic Volunteer Murder: অভিযুক্ত জানে আলম বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ১০ বছর আগে এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছিল বলে অভিযোগ।
মগরাহাট : প্রথমে গুলি। তারপর গলা কেটে খুন। ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয় বরুণ চক্রবতী ও মলয় মাখালকে। মগরাহাটে দিনেদুপুরে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর প্রশ্নচিহ্ন আরও বড় হতে শুরু করেছে। ঘটনায় অভিযোগ জানে আলমের বিরুদ্ধে। দিনেদুপুরে কীভাবে এই ধরনের খুনোখুনির ঘটনা ঘটল? রাজ্যের আমজনতার নিরাপত্তা কোথায় ? এমনই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। আর তারই মধ্যে মগরাহাটের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জানে আলম বিভিন্ন ধরনের প্রচারণামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ১০ বছর আগে এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণা করেছিল বলে অভিযোগ।
এলাকায় অভিযুক্ত জানে আলমের যথেষ্ট প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল বলে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল জানে আলম। সম্প্রতি পশুর হাড় থেকে জৈব সার তৈরির ব্যবসা শুরু করেছিল সে। এর আগে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিল। উল্লেখ্য, অতীতে যাদের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারিত করার অভিযোগ উঠেছিল, তারা বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। মগরাপুকুর এলাকায় যে গোডাউন থেকে শনিবার দুই জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে, ওই গোডাউনের বাইরেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিল প্রতারিতরা। এর পাশাপাশি জানে আলম মোল্লার ভুয়ো এয়ারলাইন্সও ছিল বলে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রোডাক্টের ভুয়ো কোম্পানি চালাত সে। নিজস্ব একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্কও ছিল। অভিযোগ এই সব কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে যুবকদের কাছ থেকে টাকা তুলত জানে আলম।
জানে আলমের ভাই জাহাঙ্গির আলম মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। জানে আলমের যে গোডাউনটি রয়েছে মাগুর পুকুর এলাকায়, সেটি আসলে তার বাগানবাড়ি। স্থানীয় লোকেরা এই বাগানবাড়িটকে জানে আলমের গ্রাম বলেই চেনে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একাধিক জায়গায় জানে আলমের ফ্ল্যাট ও বাগান বাড়ি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিজের সঙ্গে সবসময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরত বলে অভিযোগ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই হওয়ার কারণেই কি এলাকায় এতটা দাপট জানে আলমের?
জানা গিয়েছে, ইমারতি দ্রব্যের সরবরাহ করাকে কেন্দ্র করেই দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি ছিল। জানে আলম মোল্লা কম দামে ইমারতি সামগ্রী সরবরাহের আশ্বাস দিয়েছিল। সেই মতো আগাম টাকাও নিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ওই টাকার বিনিময়ে কিছুতেই সামগ্রী না দেওয়ায় দীর্ঘদিন যাবৎ টানাপোড়েন চলছিল। শুক্রবার রাতেও এক দফা অশান্তি হয়েছিল বলে খবর। মৃতদের পরিজন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, জানে আলম বলেছিল, আজ সকালে আমড়াতলা হাড়ের কারখানায় আসতে। সেখানেই তাঁদের টাকা ফেরত দেবে। কিন্তু সকালে কারখানায় যাওয়ার পরে টাকা দেয় না। বরং তুমুল ঝগড়া শুরু করে বরুণ চক্রবতী ও মলয় মাখালের সঙ্গে। অভিযোগ তারপরই নৃশংস ভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলার নলি ও পেট কেটে, গুলি চালিয়ে দুজনকে খুন করে জানে আলম। জানে আলমের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।। কারখানায় আর কেউ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : Firhad Hakim: ‘কুণাল ক্যাবিনেটের সদস্য নন’, নিয়োগ অনিয়মের বল ঠেলাঠেলিতে এবার পার্থর পাশে ফিরহাদ
আরও পড়ুন : Anubrata Mandal Heath Update: মাঝে মাঝেই অক্সিজেন লাগছে, উডবার্নে কেমন আছেন অনুব্রত?