Joynagar: ‘তৃণমূল বারণ করেছে, তাই পুলিশ ওদের ধরছে না…’ বিভীষিকার সাক্ষী বৃদ্ধা
Joynagar: ধৃত আনিসুর রহমান লস্করের মা আবেদা বেওয়া বলেন, "আমার ছেলে নির্দোষ। সিপিএম করে বলেই ওকে মিথ্যাভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর যারা আমাদের বাড়িঘর আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর করল, তাদের ধরা হচ্ছে না কেনো?
জয়নগর: জয়নগরে তৃণমূল নেতা সুইফুদ্দিন খুনে গ্রেফতার হয়েছে মাস্টার মাইন্ড। সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই খুনের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তারপর? খুন পরবর্তী পর্যায়ে গ্রামে যে ধ্বংসলীলা চলেছিল, দোলুয়াখাকি গ্রামের ২০-২৫টা বাড়িতে লুঠপাট চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাতে পুলিশের ভূমিকা কী? কেন গ্রেফতার করা হল না এক জনকেও। এবার সেই প্রশ্ন তুলল ধৃত আনিসুরের পরিবার।
জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঙালবুড়ি মোড়ে সোমবার ভোরে বাড়ির সামনে নমাজ পড়তে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন দাপটে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। তারপরই একজনকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি আরও একজনকে ধরে পুলিশ হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও বারুইপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার প্রথম থেকে দাবি করে আসছিলেন, এই খুনের ঘটনার পিছনেই রয়েছে দোলুয়াখাকির সিপিএম কর্মী আনিসুর রহমান লস্কর। তিনি বর্তমানে পুলিশের জালে।
খুনের পরপরই একাধিক সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর লুঠপাট করে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। আর সেই অভিযোগ উঠেছে সইফুদ্দিনের অনুগামী তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আনিসুর রহমান লস্কর ও তাঁর এক সঙ্গী কামাল উদ্দিন ঢালিকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু কেন বাড়ির পোড়ানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ধৃত আনিসুর রহমান লস্করের মা আবেদা বেওয়া বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। সিপিএম করে বলেই ওকে মিথ্যাভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর যারা আমাদের বাড়িঘর আগুন লাগিয়ে ভাঙচুর করল, তাদের ধরা হচ্ছে না কেনো? কবে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে? তৃণমূল বারণ করেছে তাই গ্রেফতার করছে না পুলিশ।” একই অভিযোগ অবশ্য তুলেছে সিপিএমও।
বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে গ্রামের স্থানীয় ২২৭ নম্বর বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মোরসেলিম লস্করের দিকে। সেই সঙ্গে অভিযোগও তোলা হয় পাশের ২২৬ নম্বর বুথের পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা মমতাজ হালদারের স্বামী আব্দুল করিম হালদারের দিকে। অভিযোগ তাদের নেতৃত্বেই ওইদিন গ্রামের একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুর,লুঠপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। যদিও অভিযুক্তদের পাল্টা দাবি, সিপিএম নিজেদের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, আদৌ কি বাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনায় গ্রেফতার করার মতো কোনও তথ্যই হাতে পায়নি পুলিশ?