দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে ভাড়াটে শার্প শুটারের ব্যবহার? খুনের ধরন দেখে অনেকেই মনে করছেন এমনটা। পুলিশ সূত্রে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করা হয় বলেই অভিযোগ উঠছে। সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিনে সইফুদ্দিন ভোরে কখন নমাজ পড়তে যান, তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখত আততায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সইফুদ্দিন লস্কর গত এক সপ্তাহ ধরে ভোরে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। নিহতের পরিবারের দাবি, কেউ না কেউ এই তথ্য দিয়েছে আততায়ীদের। এমনও এলাকায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে রেইকি করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, নমাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই সময় এলাকায় কেউ ছিলেন না। সইফুদ্দিন তাড়াহুড়ো করে ঢুকতে যাচ্ছিলেন মসজিদে। অন্যদিকে যে পাঁচজন সোমবার ভোরে ঘটনাস্থলে ছিলেন, তাঁদের শ্রমিক হিসাবে মনে করেছিলেন তিনি। কারণ, রাস্তায় কয়েকদিন ধরে বালি পড়ে আছে। সেগুলিই তাঁরা তুলতে এসেছেন, ভেবেছিলেন সইফুদ্দিনের তুতো ভাই।
এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সইফুদ্দিনকে যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়, তা কি উদ্ধার হয়েছে? দুই, আততায়ীরা যে বাইকে এসেছিল, কোন এলাকার? তিন, সইফুদ্দিনকে চাইলে দূর থেকেও গুলি করতে পারত, তবু কেন ঘাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করা হল?