Kultali: উঠোনে বসে এক নাগাড়ে অঝোরে কেঁদে চলছিল আড়াই বছরের শিশু, বাচ্চাটাকে বাইরে রেখেই ঘরে এসব! মেয়ের বাড়িতে পা রাখতেই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠল বাবা-মার

Abhigyan Naskar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 01, 2024 | 1:05 PM

Kultali: কুলতলির মধুসূদনপুর এলাকায় বাড়ি মামনি হালদারের সঙ্গে কুলতলির দেউলবাড়ি-দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবপুর এলাকার যুবক সাগর হালদারের প্রেম ছিল।  দুই বাড়িরই এই বিয়েতে মত ছিল না। এই কারণে বছর তিনেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা।

Kultali: উঠোনে বসে এক নাগাড়ে অঝোরে কেঁদে চলছিল আড়াই বছরের শিশু, বাচ্চাটাকে বাইরে রেখেই ঘরে এসব! মেয়ের বাড়িতে পা রাখতেই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠল বাবা-মার
গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  মায়ের শরীরটা পড়ে রয়েছে উঠনের ওপর। আর তার পাশেই আড়াই বছরের সন্তান নাগাড়ে কেঁদে চলেছে। ফাঁকা বাড়ি, তাকে সামলানোর আর কেউ নেই। কিন্তু মা সাড়া দিচ্ছে না, কিছুই বুঝতে পারছে না বাচ্চাটা। জামাইয়ের ফোন পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন মামনির বাবা-মা। মায়ের নিথর শরীরের পাশে পড়ে বাচ্চাটা। মায়ের মুখ দিয়ে বেরোচ্ছিল গ্যাজলা। কুলতলিতে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর নিথর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মামনি হালদার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলতলির মধুসূদনপুর এলাকায় বাড়ি মামনি হালদারের সঙ্গে কুলতলির দেউলবাড়ি-দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবপুর এলাকার যুবক সাগর হালদারের প্রেম ছিল।  দুই বাড়িরই এই বিয়েতে মত ছিল না। এই কারণে বছর তিনেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। যদিও পরে দুই বাড়ির লোকই বিষয়টি মেনে নেন।  তাঁদের একটি আড়াই বছরের সন্তানও রয়েছে।

বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পারিবারিক কারণে অশান্তি হতে থাকে দুজনের মধ্যে। অভিযোগ, স্বামী ও ভাসুর মামনি হালদারকে মারধর করত বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার দুই পরিবার এক সঙ্গে বসে মীমাংসাও করে। তারপর কিছুদিন ঠিকঠাক চললেও ফের অশান্তি শুরু হত। কিছুদিন আগে জামাইষষ্ঠীতে মামনি হালদার স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়িতে আসে। জামাইষষ্ঠী মিটলে এখান থেকেই স্বামী কলকাতায় কাজে চলে যায়। কলকাতায় সাগর রঙের কাজ ছাড়াও আরও নানান কাজ করত।

পরিবারের দাবি, শনিবার সাগর ফোন করে মামনিকে বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি যেতে বলেন। স্বামীর কথামতো শনিবারই শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান মামনি। অভিযোগ, রবিবারই মামনি তাঁর বাবাকে ফোন করে জানান, তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হচ্ছে। পরিবারের দাবি, মেয়ের ফোন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই জামাই ফোন করে বলেন, ‘মামনি বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।’

মামনির পরিবারের সদস্যরাই গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুলতলি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মামনির পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা।

Next Article