Kultali: খেতে-খেতে উঠে গিয়ে গৃহবধূ সরাচ্ছিলেন টেবিল ফ্যান, তারপরই…
Kultali: তড়িঘড়ি সুলেখাদেবীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক অনুমান, ফ্যানের তার বা সুইচবোর্ডে শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

কুলতলি: অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা কুলতলিতে। দুপুরে ভাত খেতে বসেছিলেন গৃহবধূ। আর সেই সময় টেবিল ফ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু গৃহবধূর। শোকের ছায়া এলাকায়।
কুলতলি ব্লকের মৈপিঠ কোস্টাল থানার মধ্য গুড়গুড়িয়া গ্রামের বছর বত্রিশের মুদী। রবিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ভাত খাচ্ছিলেন। সেই সময় সামনে একটি টেবিল ফ্যান চলছিল। খাবার খাওয়ার মাঝেই সুলেখাদেবী সেই ফ্যানটি সরাতে যান। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। স্বামী রাজু মুদী তখন বাথরুমে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। সঙ্গে-সঙ্গে চিৎকার করেন তিনি। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
তড়িঘড়ি সুলেখাদেবীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক অনুমান, ফ্যানের তার বা সুইচবোর্ডে শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে।হঠাৎ এমন দুর্ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মৈপিঠ কোস্টাল থানার পুলিশ। বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ফ্যানের অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
এই দুর্ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ঘরের মধ্যেও ছোটখাটো অসতর্কতা কীভাবে বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। মৃতের স্বামী রাজা মুদী বলেন, “টেবিল ফ্যান চালিয়ে দু’জন একসঙ্গে খাবার খাচ্ছিলাম। তারপর আমি বাথরুমে চলে গিয়েছিলাম। এসে দেখি এই অবস্থা।”

