AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Royal Bengal Tiger: ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে কুলতুলি, জোড়া লোহার খাঁচা, মাচায় রাতভর পাহারাই সার, ধরা দিল না ডোরাকাটা!

South 24 Pargana: প্রশাসনের নির্দেশমতোই, এলাকাজুড়ে কেবল অন্ধকার। আদিবাসীদের ঘরে আলো জ্বলেনি। ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে বাঘের জন্যই অপেক্ষায় বনকর্মীরা

Royal Bengal Tiger: ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে কুলতুলি, জোড়া লোহার খাঁচা, মাচায় রাতভর পাহারাই সার, ধরা দিল না ডোরাকাটা!
রাতভর ধরা পড়ল না বাঘষ চিন্তায় গ্রামবাসীরা, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 27, 2021 | 6:40 AM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চতুর বাঘকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না। না মিলছে তার দেখা, না ধরা দিচ্ছে সুন্দরবনের দক্ষিণ রায় (Royal Bengal Tiger)। এই পরিস্থিতিতে  বাঘকে ধরতে চলছে ফাঁদ পাতার কাজ। দিন পেরিয়ে রাত নেমেছে। তাও রবিবার রাতেই চলল ফাঁদ পাতা। সোমবার ভোর পর্যন্ত যদিও দেখা মিলল না ‘পাঁকাল’ বাঘের।

কুলতুলির সেই বাঘকে ধরতে অবশেষে জঙ্গলে পাতা হয় দুটি লোহরা খাঁচা। খাঁচার ভেতর খাবারের টোপ হিসেবে রাখা হয়  ছাগল। ঝুঁকি নিয়েই খাঁচায় ছাগল রেখে আসেন বনকর্মীরা। কোনও রকম ফাঁক না রাখতে শেখ পাড়া ও আদিবাসী পাড়ায় রবিবার  দুটি খাঁচা পেতে রাখা হয়।

একইসঙ্গে নাইলনের জালে ঘেরা জঙ্গলের গাছে তৈরি মাচায় অভিজ্ঞ বনকর্মীরা ঘুম পাড়ানি বন্দুক ও সার্চ লাইট নিয়ে উঠে পড়েছেন। সেখান থেকেই বাঘের উপর নজরদারি চলবে। মাচাতে থেকেই বনকর্মীরা বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করে ধরতে তৎপর। যদিও, সোমবার ভোর পর্যন্ত সে সুযোগ মেলেনি।

বন আধিকারিক, ডিএফও, কনজারভেটর অব ফরেস্টও রয়েছেন সেখানে। বাঘের উপর কাজ করে এমন সংগঠনের লোকজনও হাজির হয়েছেন রবিবার সন্ধ্যায়। গত তিনদিন ধরে এই বাঘটিকে কোনও ভাবেই ধরা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের।

প্রশাসনের নির্দেশমতোই, এলাকাজুড়ে কেবল অন্ধকার। আদিবাসীদের ঘরে আলো জ্বলেনি। ঘুরঘুট্টি অন্ধকারে বাঘের জন্যই অপেক্ষায় বনকর্মীরা।  এদিকে, বাঘ না ধরা পড়ায় আতঙ্ক বাড়ছে কুলতুলির গ্রামে। এরপর কি আরও বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে? চোখের ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর।

বৃহস্পতিবার দর্শন গায়েনের চকে ছিল বাঘটি। শুক্রবার ৫ নম্বর গরাণকাটির কাছে চলে যায়। শনিবার বিকালে চলে যায় পিয়ালির জঙ্গলে। জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরছিলেন বনকর্মীরা। তার মধ্যেই গর্জন শুনে এগিয়ে যান গ্রামবাসীরা। বাঘের হানা থেকে বাঁচতে গিয়ে জখম হন এক গ্রামবাসী। তিনদিন ধরে কুলতলির লোকালয়ের কাছে রয়েছে ওই বাঘ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেন, “গত চারদিন ধরে ও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। ও একটা স্ট্রেসের মধ্যে রয়েছে। ওর মধ্যেও একটা আতঙ্ক কাজ করছে। এদিকে গ্রামবাসীরাও আতঙ্কিত। সে কারণে হয়তো বাঘটা হয়ত আমাদের তৈরি করা ঘেরাটোপকে এড়িয়ে নিজের জায়গায় ফেরার চেষ্টা করছে। তবে রবিবার যেখানে ওর দেখা পেয়েছি এবং ফেন্সিং আমরা যেভাবে করেছি। আগে শুধু খাঁচা ছিল, এবার সঙ্গে মাচাও রেখেছি। কোনওভাবে ও যদি খাঁচার কাছে এলেও সেখানে না ঢোকে আমাদের লোকজন মাচায় ঘুমপাড়ানি ওষুধ নিয়ে থাকবেন। তাঁরা চেষ্টা করবেন বাঘটিকে ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু করার।”

রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “আমরা বনদফতরের তরফ থেকে সবরকমভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। সাধারণ মানুষকে বলব, আপনারাও সবরকম সাহায্য করুন।”

আরও পড়ুন: ‘দিদিকেই বরং রাজ্যপাল করে দেওয়া হোক!’ 

আরও পড়ুন: Adhir Chaudhury on Humayun Kabir’s Controversial Comment: ‘কেউ সামনে বলেন, কেউ ফোনে হুমকি দেন…হুমায়ুন ব্যতিক্রম নন’