Sonarpur: সোনারপুরে হঠাৎ মাঠে নামল ৪০০ পুলিশ, হচ্ছেটা কী?
Sonarpur: গত বছরের তুলনায় এবার বিপত্তারিণী পুজোয় ভিড় অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই ভিড় সামলাতে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গোটা রাজপুর অঞ্চলজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় চারশো পুলিশ কর্মী। সঙ্গে রয়েছেন বহু স্বেচ্ছাসেবকও।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভোররাত থেকে হঠাৎ প্রচুর পুলিশ। হঠাৎ কেন এত পুলিশ? বুঝে ওঠা দায়! কোনও কি বড় ইভেন্ট রয়েছে? নাকি বড় কোনও বিপদ! ধীরে ধীরে গ্রামের মন্দিরে ভিড় জমতে শুরু করে। এরপর পরিস্কার হয় বিষয়টা! বিপত্তারিণী পুজো! পুজো দিতে মানুষের ভিড়। আর তাতে মোতায়েন ৪০০ পুলিশ! রাজপুর বিপত্তারিণী মন্দির চত্বর যেন সকাল থেকেই জনসমুদ্র। পুজোর কাজ শুরু হয় ভোর তিনটেয়। এরপর থেকেই দর্শনার্থীদের ঢল নামে মন্দিরে। দেড়টা নাগাদ পুজোয় বসেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। দুপুর গড়িয়ে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত দেবীর দর্শন চলে। বিকেল পাঁচটায় আরতি।
গত বছরের তুলনায় এবার বিপত্তারিণী পুজোয় ভিড় অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সেই ভিড় সামলাতে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গোটা রাজপুর অঞ্চলজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় চারশো পুলিশ কর্মী। সঙ্গে রয়েছেন বহু স্বেচ্ছাসেবকও। মন্দির চত্বরের সর্বত্র লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা।
দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে চালু করা হয়েছে ব্যাগ চেকিংয়ের বিশেষ ব্যবস্থা। মন্দিরের বাইরে রাখা হয়েছে বিশুদ্ধ পানীয় জল, অস্থায়ী শৌচাগার ও বিশ্রামের জায়গাও। মন্দির চত্বরের আশপাশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ।
পুজোর উৎসবে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য দিনভর নজরদারি চালাবে প্রশাসন। রাজপুর বিপত্তারিণী পুজো এখন শুধু আঞ্চলিক উৎসব নয়, ক্রমশ তা রাজ্য জুড়ে একটি বিশাল ধর্মীয় মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এবছর সেই চিত্র আরও একবার চোখে পড়ল রাজপুর মন্দিরে।

