AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sonarpur COVID: কোভিড সচেতনতায় পথে বিধায়ক, মাস্ক বিলি করলেন লাভলি মৈত্র

Sonarpur COVID: বৃহস্পতিবার সাত সকালেই গড়িয়া বাজার যৌথ পরিদর্শন করেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও নরেন্দ্রপুর আইসি অনির্বাণ বিশ্বাস।

Sonarpur COVID: কোভিড সচেতনতায় পথে বিধায়ক, মাস্ক বিলি করলেন লাভলি মৈত্র
বাংলায় পজিটিভিটি রেট অনেক বেশি
| Edited By: | Updated on: Jan 07, 2022 | 10:42 AM
Share

সোনারপুর: সোনারপুর জুড়েই বাড়ছে কোভিড সংক্রমণ। কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছ। সংক্রমণ রুখতে সমস্ত বন্ধ দোকানপাট, বাজার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাস্তায় নামলেন বিধায়করাও। সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক লাভলী মৈত্র বিভিন্ন বাজার ও সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন। একই সঙ্গে মাস্ক বিলি করলেন।

সরকারি এই সিদ্ধান্তের ফলে কোভিডের এই উর্ধ্বমুখী গ্রাফকে অনেকটাই আটকানো যাবে বলে জানালেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর প্রধান ও পেশায় চিকিৎসক পল্লব দাস।

বিধায়ক লাভলি মৈত্র বলেন, “আমাদের এখানে ৪ দিন বাজার বন্ধ। আজকে এখানে দ্বিতীয় দিন। ঘুরে দেখলাম বাজার সব বন্ধই। যাঁরা এখনও মাস্ক পরেননি, একটু গাফিলতি করছেন, তাঁদেরকে মাস্ক দিচ্ছি। তাঁদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।”

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত বাজার ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। শুধুমাত্র জরুরিকালীন পরিষেবা চালু থাকবে। এইসময় বাজারগুলি স্যানিটাইজ করার কাজ করবে পুরসভা। কোভিড বিধি রুখতে মাস্ক পরার ব্যাপারে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। মাস্ক ছাড়া কেউ বের হলে আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সাত সকালেই গড়িয়া বাজার যৌথ পরিদর্শন করেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও নরেন্দ্রপুর আইসি অনির্বাণ বিশ্বাস। মাস্ক ছাড়াই এদিনও অনেককেই বাইরে বের হতে দেখা গিয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পরিসংখ্যান বলছে, একলাফে রাজ্যে ৫ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণ ১৪ হাজার পার করেছে। ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু কলকাতাতেই ৬ হাজারের বেশি আক্রান্ত, ৫জনের মৃত্যু।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ অনেক হালকা। চিকিৎসক বলছেন, “ভাগ্য ভালো আক্রান্তদের বেশিরভাগই ৫-৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হয়তো হোম আইসোলেশনের যে লম্বা ১৭ দিনের পিরিয়ড, সেটাকেও কমিয়ে আনা হবে। যদি সেটা কমিয়ে আনা হয়, তাহলে ওয়ার্ক টার্নওভার বা অর্থনীতির ক্ষেত্রে অনেকটা উপকারী হবে।”

বিশ্বের অনেক দেশই এখন ১৪ দিন বা ২১ দিনের আইসোলেশনের নিয়মে বদল এনেছে। সম্প্রতি আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন আমেরিকাবাসীর জন্য আইসোলেশনের নতুন প্রোটোকল চালু করেছে। সেখানে বলা হয়েছে করোনা আক্রান্ত হলে পাঁচ দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। সাতদিন পর কাজে যোগ দেওয়া যাবে। সেই পথেই এবার ভারতও হাঁটবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। এসএসকেএমের চিকিৎসকদের কথাতেও তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

আরও পড়ুন: বাড়ি না ভাগাড়, বোঝা দায়! রাস্তার সব নোংরা বাড়িতেই এনে রাখেন এলআইসি কর্মী… তারপর যা হল আজ

আরও পড়ুন: Weather Updates: শীত-সুখে ভাসছেন! সপ্তাহের শুরুতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা…কী বলছে হাওয়া অফিস?