AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আসামি ধরতে গিয়ে মার খেতে হল পুলিশকেই! শুরু রাজনৈতিক চর্চা

Sonarpur: পুলিশ বলছে, ২০১৯ সালে একটি মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন হান্নান। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

আসামি ধরতে গিয়ে মার খেতে হল পুলিশকেই! শুরু রাজনৈতিক চর্চা
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2021 | 9:31 AM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মারধরের ঘটনার এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। আক্রান্ত সোনারপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য।

ঘটনার সূত্রপাত সোনারপুরের বেনিয়াবউ এলাকার বাসিন্দা হান্নান হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ঘিরে। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। শুক্রবার সকালে সোনারপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর সোমনাথ দাস ২ পুলিশ কর্মী এবং ২ সিভিক ভলেন্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে বেনেবউ এলাকায় ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান।

পুলিশ আসার খবর পেয়ে হান্নান বেপাত্তা হয়ে যান। অভিযোগ, হান্নানের বিষয় খোঁজখবর নিতে গেলে তাঁর আত্মীয়রা পুলিশকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়, তারপর হাতাহাতি। অতর্কিতে পুলিশের ওপর ইট ছোড়া হয়। মারধরে গুরুতর জখম হয়েছেন সাব ইন্সপেক্টর সোমনাথ দাস। তাছাড়া বাকি পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়াররাও আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

পুলিশ বলছে, ২০১৯ সালে একটি মারপিটের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন হান্নান। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তিনি পলাতক। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। তখনও পরিবারের সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তা থেকেই আক্রমণ।

এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। কোর্টের অর্ডারে দাগী আসামিকে ধরতে গিয়েছিল, সেখানে উল্টে আসামীর পরিবারের লোক পুলিশকে মারধর করে। যাঁরা মারধর করেন পুলিশকে, তাঁদের মধ্যে নিজে এক পুলিশ কর্মী।”

যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপির এটাই কাজ। সবেতেই তৃণমূলকে জড়াবে। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগটা কোথায়? পুলিশ আসামি ধরতে গিয়ে আক্রান্ত, এখানে তৃণমূল এল কোথা থেকে? পুলিশ নিশ্চয়ই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা করবে। এটা একান্তই প্রশাসনিক ব্যাপার। রাজনীতির রঙ চড়িয়ে লাভ নেই। আরও পড়ুন: লকডাউনে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ কারখানায় আতমকাই আগুন! অন্তর্ঘাত না অন্য কিছু?