TMC BJP Clash: কর্মিসভা চলাকালীন ভিলায় ঢুকে হামলা, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
TMC BJP Clash: কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার রামকৃষ্ণ গ্রামপঞ্চায়েতের নোনামাঠ এলাকার একটি ভিলাতে কর্মিসভার আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত ছিল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিজেপির কর্মিসভা চলাকালীন হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি সভায় চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এলাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার রামকৃষ্ণ গ্রামপঞ্চায়েতের নোনামাঠ এলাকার একটি ভিলাতে কর্মিসভার আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এই কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিত ছিল।
অভিযোগ, কর্মিসভা চলাকালীন হামলা করেন শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ধাক্কা মেরে ভিলা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মিটিংয়ের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। প্রায় ৫০ থেকে ৭০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক অতর্কিতে ভিলায় ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রতিরোধ গড়়ে তোলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে।
বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পরে কর্মিসভা বাতিল হয়ে যায়। ভিলার মালিক ও বিজেপির পক্ষ থেকে হারুডপয়েন্ট কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কর্মিসভার কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করবে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা গোপাল মণ্ডল বলেন, “আমাদের কর্মিসভা ছিল। সাড়ে বারোটা নাগাদ তৃণমূলের দুষ্কৃতী ঢুকে হামলা চালায়। সব ভাঙচুর করেছে, ছেলেদের মেরেছে, মেয়েরাও ছিল, তাঁদের গায়ে হাত দিয়েছে। পাকিস্তানের মতো অবস্থা হচ্ছে বাংলার।”
অন্যদিকে তৃণমূলের যুব নেতা দেবাশিস দাস বলেন, “শুনেছি এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি বলেছিল ভিলা মালিককে পিকনিক করবে। পরে ভিলা মালিক দেখে দলীয় পতাকা তুলছে, মদ্যপান করছেন। ভিলামালিক আবার আমাদেরই দল করেন। ওঁ আমাদের সবটা জানায়। আমরা ভিলা ছেড়ে চলে যেতে বলেছিলাম। ওঁরা ভিলার মালিককে মারধর করেন। আশপাশের বাড়ির লোক প্রতিবাদ করেন। দুপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।” তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।