TMC Leader: ‘দল ওকে কোনওদিনই সাপোর্ট করেনি’, নরেন্দ্রপুরে বড় নেতা গ্রেফতার হতেই বলছে তৃণমূল
TMC Leader: নরেন্দ্রপুর থানার এসআই শান্তনু ব্যাধ গোপন সূত্রে খবর পান যে অনুপ পৈলান তাঁর বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখে। এই খবর পেতেই তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রানাভুতিয়া গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিছনে অভিযান চালায়।

নরেন্দ্রপুর: সমাজবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা। উদ্ধার ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড কার্তুজ। ধৃতের নাম অনুপ পৈলান। বাড়ি খেয়াদহের রানাভুতিয়া গ্রামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে এলাকার রাজনৈতিক মহলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে সমাজবিরোধী কাজ করে যাচ্ছিল পৈলান। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় তোলা আদায়, সাট্টা এবং জুয়ার ঠেক চালানোর অভিযোগ ছিল। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক থানায় সমাজবিরোধী কাজকর্ম করার অভিযোগ আছে। শেষ পর্যন্ত অ্যাকশন নিল পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, নরেন্দ্রপুর থানার এসআই শান্তনু ব্যাধ গোপন সূত্রে খবর পান যে অনুপ পৈলান তাঁর বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রাখে। এই খবর পেতেই তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রানাভুতিয়া গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিছনে অভিযান চালায়। সেখান থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এই সব অস্ত্র নিয়েই সে এলাকায় নিজের দাপট দেখাতো। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। খেয়াদহ দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগও রয়েছে। ওই ঘটনায় বেশ কিছু শিশুরও আহত হওয়ার খবর মিলেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই তাঁর গ্রেফতারের খবর স্বভাবতই চাপানউতোর চলছে এলাকায়। দ্রুত তাঁকে আদালতে চোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে নরেন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদনও জানানো হবে।
ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হতেই এলাকার তৃণমূল নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী বলছেন, “দুষ্কৃতীদের কোনও ধর্ম-জাত-রঙ হয় না। সে যে কোনও দলেরই হতে পারে। এখন তৃণমূলের নাম জড়িয়ে যাচ্ছে কারণ এখন সবাই তৃণমূল। পৈলান আগে সিপিএম করতো। ২০২১ সালে বিজেপি করেছি। কিন্তু কোনওদিকে সুবিধা করতে না পেরে তৃণমূলে আসার চেষ্টা করেছিল। দল ওকে কোনওদিনই সাপোর্ট করেনি।” যদিও এসব মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা দেবজিৎ দাস বলছেন, “ও খেয়াদা অঞ্চলের পরিচিত তৃণমূল নেতা। তবে ও নেতা কম দুষ্কৃতী। আসলে গোটা এলাকাই তো বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে। তবে শুধু অনুুুপ নয়, তৃণমূলের ব্লক স্তরের নেতাদের বাড়িতে সার্চ করলেও বোমা-বারুদ পাওয়া যাবে।”





