ডায়মন্ড হারবার: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এবার নাম জড়াল ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) তৃণমূল নেতা অমিত সাহার। অমিত ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও দলের ডায়মন্ড হারবার টাউন সভাপতি। অমিত গত ২০১৮ সাল থেকে উস্তির হটুগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে ক্লার্ক পদে চাকরি করছেন। ২০১৭ সালে এসএসসির গ্রুপ সি পদে পরীক্ষা দিয়ে অমিত চাকরি পান। কিন্তু আদালতের নির্দেশের পর অমিতের ওএমআরশিট প্রকাশ্যে আসে। এরপরই অমিতের নিয়োগ প্রশ্নের মুখে পড়ে বলে অভিযোগ। এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে অমিতকে জনসমক্ষে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের। অমিতের খোঁজে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের গার্লস স্কুল রোডের বাড়িতে গেলেও পাওয়া পাওয়া যায়নি তাঁকে। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। বহু ডাকাডাকির পরও পরিবারের লোকজন কেউ বের হননি।
কাউন্সিলরের জনসংযোগ কার্যালয় ও পুরসভাতেও পাওয়া যায়নি অমিতকে। এমনকী অমিতের খোঁজে হটুগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলে গিয়েও মেলেনি খোঁজ। দু’দিন আগে স্কুলে গেলেও শুক্রবার তিনি স্কুলে যাননি বলে জানান প্রধান শিক্ষিকা আশাপূর্ণা হালদার মাইতি। অমিতকে সকাল থেকে একাধিকবার ফোন করেও কোন বক্তব্য মেলেনি। পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। দোষী প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে।
এসএসসি গ্রুপ-সি নিয়োগেও বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে এমন ৩ হাজার ১১৫ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সূত্রের খবর, সেখানেই উঠে এসেছে ডায়মন্ড হারবার টাউন সভাপতি অমিত সাহার নাম। এ বিষয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, “মেধাকে বঞ্চিত করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছে। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যেও চাকরি বন্টন করে নিয়েছে।”
যদিও ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল নেত্রী মনমোহিনী বিশ্বাসের বক্তব্য, “ওর যা বক্তব্য ও আদালতকে জানাবে। তারপর যা হওয়ার হবে। পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে যদি সে কোনও দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকে তাকে নিয়ে কী পদক্ষেপ করবে। তবে দল কখনওই এসব সমর্থন করে না।”