AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Smriti Irani: আবাস যোজনায় ঘর মিলছে না, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ গ্রামবাসীর

দীর্ঘদিন ধরেই পিছাবনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে স্মৃতি ইরানির কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসী। এখানে কোনও পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ জানান তাঁরা।

Smriti Irani: আবাস যোজনায় ঘর মিলছে না, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ গ্রামবাসীর
রামনগরের পিছাবনীতে গ্রামবাসীর ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
| Edited By: | Updated on: Dec 18, 2022 | 4:24 PM
Share

রামনগর: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর মিলছে না। এমনকি গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিও তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন রামনগর বিধানসভার পিছাবনীর বাসিন্দারা। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে রীতিমতো ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অবশ্য এই ঘটনার দায় রাজ্যের উপরই দিয়েছেন। তাঁর দাবি,কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা দিচ্ছে। প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করার জন্য বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন স্মৃতি ইরানি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কেন পরিষেবা দেওয়া হয় না, সে ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রীকে জবাব দিতে হবে বলেও দাবি জানান স্মৃতি ইরানি। তাঁর কথায়, “আবাস যোজনায় ঘর পাওয়া বাংলার মানুষের অধিকার। আমরা নিরন্তর টাকা দিচ্ছি। কিন্তু বাংলার মানুষ কেন্দ্রীয় সুবিধা বা পরিষেবা কেন পাচ্ছে না তার উত্তর দিদিকে দিতে হবে।” গোটা বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দু-দিনের সফরে এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানি। এদিন তিনি প্রথমে রামনগর বিধানসভার অন্তর্গত পিছাবনীতে যান। সেখানে লবণ সত্যাগ্রহ শহিদ স্মারকে পুষ্পার্ঘ্য দেন। তারপর সংশ্লিষ্ট একটি কালী মন্দিরে পুজো দেন। সেখানেই প্রথমে তিনি গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সকলের অভাব-অভিযোগ শোনেন। এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। পাশাপাশি যাঁরা বাড়ি পাননি, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করার ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন স্মৃতি ইরানি। বিষয়টি নিয়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

এরপর পিছাবনী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রও পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী। যদিও স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে স্মৃতি ইরানির কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসী। এখানে কোনও পরিষেবা ঠিকমতো দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ জানান তাঁরা। এই বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলবেন বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।

এদিন আলাদারপুরে একটি ছোট্ট জনসভাও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। তারপর মধ্যাহ্নভোজের পর দুলালপুরে বিজেপি ডিস্ট্রিক্ট অফিস এবং আইটি সেক্টরের টিমের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। দলের এবং জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য ও কাউন্সিলরদের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। তারপর তিনি কলকাতা ফিরে যাবেন। স্মৃতি ইরানির সঙ্গে এদিনের সফরে ছিলেন দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কুমার দাস, উত্তর কাঁথির বিধায়ক সুমিতা সিনহা, জেলার রাজ্য পর্যবেক্ষক মনোজ পান্ডে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদাম পন্ডিত, সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র, সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মন্ডল সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব।