BJP Leader Murder: বাড়ির সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি
Uttar Dinajpur: এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লাগতে শুরু করেছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর: বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইটাহার। রবিবার বাড়ির সামনেই ওই বিজেপি যুব নেতাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃতের নাম মিঠুন ঘোষ। বয়স ৩২ বছর। বাড়ি ইটাহারের রাজগ্রামে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনীতির রং লাগতে শুরু করেছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যদিও শাসকদলের তরফে কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। কী কারণে এই গুলি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মিঠুনের বাবার বক্তব্য, এদিন সন্ধ্যায় তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন মিঠুনকে এলাকারই একটি ছেলের সঙ্গে গল্প করতে দেখেন। ওই যুবকের সঙ্গে মিঠুনের এর আগে একবার ঝামেলাও হয়েছিল বলে দাবি করেন নিহতের বাবা। এদিন ছেলেকে ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলতে দেখে বাড়িতে ঢোকেন তিনি। এরই মধ্যে গুলির শব্দ শুনতে পান। ছুটে এসে দেখেন ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েছে। অন্যদিক ওই যুবক-সহ আরও একজন ছুটে পালাচ্ছেন। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে মিঠুনকে নিয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছোটেন। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিঠুনের মা কাঞ্চন ঘোষ বলেন, “ছেলেটা বাড়ি ফিরে খায়ওনি। মোটর বাইকটা ঘরের ভিতরে রেখে বেরিয়ে পড়ল। মোবাইলটা হাতে নিয়ে বেরিয়ে গেল। এর কিছুক্ষণ পরই একটা শব্দ। আমি আবার আমার নাতিকে বলছি, দেখ তোর মামা বের হল। আমার ডান চোখটা কিন্তু নাচছে। দেখ তো গিয়ে। এরপরই দেখি ছেলে পড়ে রয়েছে। কারা যে মারল বুঝতে পারছি না। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন ওকে খুব শাসাতো। ওরা সবসময় ধমকাতো। বলত, ‘এবার তোর পালা’! ওরা আমাকেও বলেছে, ‘ছেলের একটা হাড়ও তোমরা পাবে না। ছেলেটাকে শেষ করে দেব।’ আমাদের গ্রামের ছেলে কাশেম এসব করত। ও তৃণমূল নেতা।”
এই ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ সরকার। প্রদীপ সরকার বলেন, “আমাদের যুব মোর্চার জেলার সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষ। ইটাহার বিধানসভার রাজগ্রামে তার বাড়ি। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়িতে ঢুকে মোটর বাইকটা রেখে বেরোয়। তখন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী কাশেম আলি ওর উপর বন্দুক নিয়ে হামলা চালায়। ওর পেটে গুলি করে। মিঠুন আমাদের মধ্যে আর নেই।”
প্রদীপ সরকার বলেন, “মিঠুন ঘোষের উপর এর আগেও একবার গুলি চালানো হয়েছিল ইটাহারে। ওর পায়ে গুলি লেগেছিল সেইবার। এবিভিপির মনোনয়ন দাখিল করতে ইটাহার কলেজে যাওয়ার সময় আমাকে ও মিঠুন ঘোষকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। মিঠুন গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। ওকে বহুবার মারার ষড়যন্ত্র করেছে কাশেম আলি এবং তৃণমূলের লোকজন। এতদিন ধরে লড়াই করে আজ ছেলেটাকে চলেই যেতে হল। একেবারে রাজনৈতিক কারণে এই খুন।” যদিও তৃণমূলের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।