RG Kar Hospital: রোগী দুর্ভোগের দায় কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে ঠেলে আরজি করের পড়ুয়ারা বললেন, ‘আন্দোলন চলবে’
Student Protest: সরকারি হাসপাতাল কোনও ভাবেই পরিষেবা ব্যাহত হতে দেবে না, বক্তব্য আইএমএ'র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেনের।
রবিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান-সহ সরকারের প্রতিনিধি ও আরজি করের মেন্টর কমিটির সদস্যরা। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানান, এই আলোচনার পর তাঁরা আশাবাদী। তবে অনশন তুলবেন কি না তা বাকি অনশনকারীদের সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত জানানো হবে। যদিও প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের এই আশ্বাস নিয়ে সংশয় ছিল স্থানীয় কাউন্সিলর অতীন ঘোষের। তিনি স্পষ্টই বলেন, “ওরা আলোচনার সময় একরকম কথা বলে। ফিরে গিয়ে অন্যরকম হয়ে যায়।”
আন্দোলনকারীদের তরফে যে ছ’জন প্রতিনিধি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরে গিয়ে বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপরই আন্দোলনকারীদের একজন এসে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে যান, বৈঠক নিষ্ফলা! তিনি বলেন, “আজ যে আপৎকালীন বৈঠক হল সেটা সম্পর্কে আমাদের সকলকে সঠিক ভাবে অবগত করা হয়নি। যেহেতু এই আন্দোলনে আরজি করের ফার্স্ট ইয়ার থেকে ইন্টার্ন এবং পিজিডি পর্যন্ত সকলে জড়িত তাই সকলের সঙ্গে আলোচনা না করে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত জানাতে পারছি না। আপাতত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
যদিও এ নিয়ে চিকিৎসক সংগঠন আইএমএ’র রাজ্য সম্পাদক শান্তনু সেন বলেন, “এটা একটা প্রতিনিধিত্বমূলত মিটিং ছিল। সকলে যদি না জানত, তা হলে তাদের ছ’জন প্রতিনিধি এল কোথা থেকে? সরকার যে মেন্টার গ্রুপ তৈরি করেছে, তার পাঁচ প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন সকলকে আসতে। এরপরই ছয় প্রতিনিধিকে পাঠানো হয়।”
একই সঙ্গে রোগীদের ভোগান্তি প্রসঙ্গে শান্তনু সেন বলেন, “সরকারি হাসপাতাল কোনও ভাবেই পরিষেবা ব্যাহত হতে দেবে না। এ রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটা গরিমা রয়েছে। নিখরচায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পান রোগীরা। এটা নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।”
আরও পড়ুন: RG Kar: এক ঘণ্টার বৈঠকেও স্পষ্ট হল না হবু চিকিৎসকরা কী চান, ওদিকে পরিষেবা না পেয়ে রোগীরা কাতরাচ্ছে