Kakurgachi: নবমীর সন্ধ্যায় পুজো মণ্ডপে তরুণীকে হেনস্তা, প্রতিবাদ করে মার খেলেন যুবক
Kakurgachi: জানা গিয়েছে, যে পুজো মণ্ডপে এই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগকারী যুবক সেই ক্লাবেরই সদস্য।
কলকাতা: পুজো মণ্ডপের (Durga Puja) ভিতরে তরুণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে চাপানউতর কাঁকুড়গাছিতে। নবমীর রাতে মণ্ডপের ভিতর চার মদ্যপ যুবক ওই তরুণীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় আক্রান্ত হন ওই তরুণীরই পরিচিত এক যুবক। ফুলবাগান থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী ফুলবাগান থানার পুলিশকে জানিয়েছেন, নবমীর দিন রাতে কাঁকুড়গাছির একটি নামী পুজো মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন তাঁর ভাই ও ভাইয়ের হবু স্ত্রী। সেখানেই তাঁর ভাই ও ওই তরুণীকে কয়েকজন যুবক ঘিরে ধরে অভব্য আচরণ করে। খারাপ অঙ্গভঙ্গি, কুকথা বলেন। অভিযোগ, কার্যত যৌন হেনস্তার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল পরিস্থিতি। এরপরই ভাই তাঁকে ফোন করে ডেকে আনে। অভিযোগকারী যুবক জানান, কার্যত ভাই ও ভাইয়ের হবু স্ত্রীকে হাত দিয়ে ঘিরে বের করে আনেন তিনি।
বাড়িতে দু’জনকে ছেড়ে ফের গাড়ি নিয়ে বের হন ওই অভিযোগকারী যুবক। এদিকে এরপরই মদ্যপ চার যুবক তাঁর পথ আটকায়। ঘিরে ধরে রড, পাঞ্চার দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে ওই যুবকদের।
অভিযোগকারী যুবকও কাঁকুড়গাছিরই বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, যে পুজো মণ্ডপে এই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে, অভিযোগকারী যুবক সেই ক্লাবেরই সদস্য। নবমীর দিন ঘটনাটি ঘটেছে দুপুর দেড়টা থেকে দু’টোর মধ্যে। এই ঘটনায় পাঁচজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও ওই ক্লাবের তরফে এই হেনস্তার অভিযোগ মানতে নারাজ। বরং তারা বলছে, এমন কিছু ঘটনা ঘটে পুলিশের নজরে আসত। কারণ, পুলিশ সবসময় পাহারায় ছিল। বরং তাদের দাবি, ব্যক্তিগত কোনও ঝামেলার রেশ এই ঘটনা হয়ে থাকতে পারে।
একই সঙ্গে ওই পুজো কমিটি তাদের ফেসবুক পেজে শুক্রবার একটি পোস্ট করে। সেখানে লেখে, ‘ষষ্ঠীর রাত থেকে আমাদের পুজো প্রাঙ্গনে ক্রমাগত ভাবে পার্শ্ববর্তী এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আক্রমন করে যাচ্ছে, যার উদাহরণ হল আমাদের সকল ব্যানার/হোর্ডিং/ফ্লেক্স/কাট-আউট ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’