North Dinajpur: কোটি কোটি টাকা খরচ না করেও ‘ফার্স্ট’ উত্তর দিনাজপুর, প্রশ্নের মুখে বাকি জেলাগুলি
North Dinajpur: চলতি মাসের প্রথমার্ধে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা প্রশাসনিক বৈঠক করে সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের অর্থ কমিশনের টাকা খরচের সময়সীমা বেঁধে দেন।
উত্তর দিনাজপুর: ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, রাজ্যকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমন দাবিতে দিল্লি পর্যন্ত গিয়ে আন্দোলনের সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এ রাজ্যের ছবি বলছে অন্য কথা। কেন্দ্রের টাকা এলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না? এরই মধ্যে নতুন তথ্য নিয়ে বাড়ল বিতর্ক। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ‘পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা’ (15th Finance Commission) খরচে রাজ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে উত্তর দিনাজপুর। অর্থাৎ এই উত্তরের এই জেলাই সবথেকে বেশি টাকা খরচ করেছে। অথচ, সূত্র বলছে এই জেলাতেই ব্যবহার করা হয়নি, এমন কোটি কোটি টাকা পড়ে রয়েছে।
সম্প্রতি সরকারি ওয়েবসাইটের ওই তথ্য প্রকাশ্য়ে এনেছেন জেলাশাসক। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ২৩৩ কোটি টাকার মধ্যে ১৪৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। পড়ে রয়েছে ৮৪ কোটি টাকা। এমনকী কয়েকদিন আগে এই টাকা খরচ নিয়ে বৈঠক করেছেন খোদ জেলাশাসক। প্রশ্ন উঠেছে, তারপরও উত্তর দিনাজপুর প্রথম স্থানে। অর্থাৎ রাজ্যের নিরিখেও খরচেরদ অঙ্ক খুবই কম।
চলতি মাসের প্রথমার্ধে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা প্রশাসনিক বৈঠক করে সমস্ত পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের অর্থ কমিশনের টাকা খরচের সময়সীমা বেঁধে দেন। দ্রুত চলতি অর্থবছরের টাকা খরচের নির্দেশ দেন তাঁদের। তথ্য উঠে আসে, জেলার মোট ৯ টি ব্লকের মধ্যে ৭ টি ব্লক এবং জেলার মোট ৯৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭ টি পঞ্চায়েত চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের অর্থ কমিশনের বরাদ্দ করা টাকার ৫০ শতাংশ খরচ করতে পারেনি। এই খরচ বৃদ্ধি না হলে পরবর্তী ৫০ শতাংশ টাকা পেতে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয় জেলা প্রশাসনের অন্দরে।
প্রশ্ন উঠেছে কেন্দ্রের দেওয়া টাকা খরচই করতে পারছে না রাজ্য। এই ইস্যুতে তৃণমূলের আন্দোলনকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। তাঁর প্রশ্ন, অবশিষ্ট টাকা কবে খরচ হবে? তিনি বলেন, “কেন্দ্রের টাকা নিয়ে আপনারা যে নাটক করছে, তা এবার বন্ধ করার সময় এসেছে। আমরা ভোটের আগে আপনাদের মুখোশ খুলে দেব।”
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অরিন্দম সরকার এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, “কোনও ক্ষেত্রে ভাল হলে এদের পছন্দ হয় না। উত্তর দিনাজপুরে উন্নয়ন হচ্ছে। এটা গর্বের বিষয়। কিন্তু কেন্দ্র এখনও প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবে আটকে রাখা যাবে না।” প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক আনুয়ারুল হকের দাবি, টাকা খরচ যে হচ্ছে না এটা স্পষ্ট। এভাবে রাজ্য সরকার আখেরে মানুষের অধিকার হরণ করছে।
পাশাপাশি টাকা খরচ যে হচ্ছে না এটা স্পষ্ট এবং সরকার আখেরে মানুষের অধিকার হরন করছে বলে দাবী করেছে জেলা সিপিআইএম নেতৃত্ব। এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি প্রশাসনিক কর্তারা।