AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কৃষকদের উপর ‘ফড়েরাজ’! রাজ্য সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ বিজেপির, ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের

রাজনৈতিক দলগুলির কৃষকদরদি এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঐ এলাকার চাষীদের একাংশ। জমি থেকে আলু তোলার ফাঁকে বাপন দাস বলেন, ‘আলু চাষে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে এখন আমরা সেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি ৪ টাকা ৩৫ পয়সায়।'

কৃষকদের উপর ‘ফড়েরাজ’! রাজ্য সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ বিজেপির, ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের
ফাইল ছবি।
| Updated on: Feb 04, 2021 | 12:41 AM
Share

বাঁকুড়া: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে থেকেই উত্তপ্ত জেলা রাজনীতি। এবার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে রাস্তার উপর আলু (Potato) ফেলে পথ অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মীরা। বিষ্ণুপুর-জয়পুর রাজ্য সড়কের হাঁড়িঘাটের এই ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা।

বুধবার সকালে পথ অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকারের নীতিহীনতার কারণে কৃষকরা উৎপাদিত ফসলের দাম পাচ্ছেন না। নতুন আলু (Potato) বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এক ধাক্কায় দাম অনেকটাই কমে গেছে। ফলে চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন বড় অংশের কৃষকরা।

আরও পড়ুন : মাত্রাতিরিক্ত ফলন, দাম নেই আলুর, মাথায় হাত আলুচাষিদের

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অশোক কুমার ডাকুয়া বলেন, ‘এলাকার কৃষক সমাজ ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবীতে পথ অবরোধ করেছিলেন। আমরা সেই কর্মসূচিকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। আমরা চাই ‘ফড়েরাজ’ বন্ধ হয়ে কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের দাম পাক।’ সেই দাবিকে রাজ্য সরকারের কাছে পৌঁছে দিতেও তাঁরা উদ্যোগী এমনটাই জানিয়েছেন অশোকবাবু।

রাজনৈতিক দলগুলির কৃষকদরদি এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঐ এলাকার চাষীদের একাংশ। জমি থেকে আলু তোলার ফাঁকে বাপন দাস বলেন, ‘আলু চাষে বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে এখন আমরা সেই আলু (Potato) বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি ৪ টাকা ৩৫ পয়সায়। এখন মহাজনের ঋণশোধ আর দৈনন্দিন সংসার খরচ কীভাবে চলবে?’

আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে মমতার নামে শুরু দেওয়াল লিখন, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সুব্রত বক্সী

প্রসঙ্গত, কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর গোটা রাজ্যে মোট চার লক্ষ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। শুধু তাই নয়, অধিকাংশই চাষিরাই ‘সুফল বাংলা’, ‘কৃষকবন্ধু প্রকল্প’-এর মতো রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে বঞ্চিত। গ্রামের প্রান্তিক চাষীরা কেউ বা সমিতি থেকে লোন, কেউ বা মহাজনের কাছ থেকে লোন নতুবা বাড়ির মহিলাদের গয়না বন্ধক রেখে চাষ করে। মাত্রাতিরিক্ত ফলনে তাই রীতিমতো লোকসানের মুখ দেখেছেন আালুচাষিরা।