SIR in Bengal: পড়াশোনা হবে তো স্কুলে? BLO-র দায়িত্ব পেয়ে চিন্তায় শিক্ষকরা, উদ্বেগে অভিভাবকরাও
BLO: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের ২ নম্বর নীলগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে নজর রাখলেও বিষয়টা খানিকটা পরিষ্কার হবে। এই স্কুলে দু’জন শিক্ষক একজন শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও আরেকজন শিক্ষক BLO দায়িত্ব পেয়েছেন।

বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম: চলছে বিএলও-দের ট্রেনিং। কিন্তু উদ্বেগ বাড়ছে স্কুলে স্কুলে। বাঁকুড়া হোক বা ঘাটাল, সর্বত্রই একই ছবি। গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে চলছে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ। এদিন বাঁকুড়া ১ ও ২ নম্বর ব্লকে বিএলও-দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হল। কিন্তু স্কুলের পঠনপাঠন ঠিক রেখে কীভাবে পুরো কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিএলও-দের একটা বড় অংশ। চিন্তায় অভিভাবকেরাও। এ নিয়ে একদিন আগে কলকাতাতেও ট্রেনিংয়ে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায় বিএলও-দের। একই ধরনের অভিযোগ উঠছে অন্যান্য জেলাগুলি থেকেও।
এই যেমন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের ২ নম্বর নীলগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে নজর রাখলেও বিষয়টা খানিকটা পরিষ্কার হবে। এই স্কুলে দু’জন শিক্ষক একজন শিক্ষিকা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও আরেকজন শিক্ষক BLO দায়িত্ব পেয়েছেন। দুই শিক্ষকের মধ্যে একজন আবার আবার পার্শ্বশিক্ষক। ফলে এখন তাঁর কাঁধে এসে পড়ছে পঠনপাঠনের বড় দায়িত্ব। ফলে এখন স্কুলে ঠিকমতো চলবে কিনা তা ভাবাচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। অভিভাবকরা বলছেন কয়েকদিন পর স্কুলের বাচ্চাদের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে পরীক্ষা সবই রয়েছে, এই আবহে যদি স্কুলের দুই শিক্ষক ভোটের কাজে ব্যস্ত হয়ে যান তাহলে সব কাজ হবে কী করে।
শুধু অভিভাবকরা নন, চিন্তায় রয়েছেন শিক্ষকরাও। চন্দ্রকোনা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক যদিও বলছেন, “স্কুলের কাজ ও BLO হিসাবে কাজ সবই করতে হবে শিক্ষকদের। ছাত্রদের পড়াশোনার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে। প্রশাসন সবটার উপরেই নজর রাখছে।” পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বাঁকুড়ার শিক্ষক সতীনাথ সাঁতরা পেয়েছেন বিএলও-র দায়িত্ব। তিনি বলছেন, “স্কুলের ডিউটি করে তো আর বিএলও-র কাজ করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে অবশ্যই কখা বলতে হবে।” একই কথা টিঙ্কু কুণ্ডুরও। তিনি বলছেন, “স্কুল করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এভাবে কাজ করা অসম্ভব। আমাদের অন ডিউটি না দিলে কী করে কাজ করব বুঝতে পারছি না।”
