বাংলাদেশের পর এবার মণিপুর সীমান্তেও আরাকান সেনা! চিন্তা বাড়ছে কেন্দ্রের
Myanmar Arakan Army: এমনিতেই অশান্ত মণিপুর। কুকি-মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ-সংঘর্ষ চলছে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে। সেই অশান্তির আগুন এখনও নেভেনি। তার মধ্যেই এবার মণিপুর সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের চিন প্রদেশ আরাকান আর্মি দখল নেওয়ায় চিন্তা আরও বাড়ল।
ইম্ফল: বাংলাদেশের রাতের ঘুম কেড়েছে আরাকান সেনা। বাংলাদেশ- মায়ানমার সীমান্তে টেকনাফ জেলার একটা অংশের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এবার ভারতেরও চিন্তা বাড়াল মায়ানমারের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দখল করে নিল মণিপুর ঘেঁষা চিন প্রদেশ। এরফলে মণিপুরের পথ ধরে ভারতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা বাড়ছে।
মায়ানমারের চিন প্রদেশের দখল নিয়েছে আরাকান সেনা, এমনটাই খবর সে দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী সূত্রে। জানা গিয়েছে, চিন প্রদেশের ৮৫ শতাংশই দখল করে নিয়েছে তারা। এই অঞ্চলে মূলত মায়ানমারের কুকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা কুকি-চিন নামে পরিচিত।
এমনিতেই অশান্ত মণিপুর। কুকি-মেতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ-সংঘর্ষ চলছে ২০২৩ সালের মে মাস থেকে। সেই অশান্তির আগুন এখনও নেভেনি। তার মধ্যেই এবার মণিপুর সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের চিন প্রদেশ আরাকান আর্মি দখল নেওয়ায় চিন্তা আরও বাড়ল।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি দাবি করেছিল, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ তারা দখল করে নিয়েছে। এরপরই অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করে মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। আরাকান সেনার সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে চায়। তবে ওপ্রান্ত থেকে জবাব মেলেনি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে মায়ানমারের নেত্রী আন সান সু কি-কে গ্রেফতার করে, ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেয় জুন্টা বাহিনী। সেই থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণে মায়ানমার। এদিকে আরাকান সেনা এই জুন্টা বাহিনীর বিরুদ্ধেই সামরিক অভ্য়ুত্থানে নেমেছে।