‘তালিবান বদলেছে ঠিকই, তবে…’ পঞ্জশীর দখলের পর গোপন ঘাঁটি থেকে কী বার্তা দিলেন মাসুদ?

সোমবার রাতেই আহমেদ মাসুদ অডিয়ো বার্তা দিয়ে বলেন, "প্রতিরোধ বাহিনী এখনও পঞ্জশীরেই রয়েছে এবং তারা তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।"

'তালিবান বদলেছে ঠিকই, তবে...'  পঞ্জশীর দখলের পর গোপন ঘাঁটি থেকে কী বার্তা দিলেন মাসুদ?
আহমেদ মাসুদ। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 5:51 PM

পঞ্জশীর: থামতে রাজি নয় প্রতিরোধ বাহিনী (Resistance Force)। সোমবারই পঞ্জশীর (Panjshir) দখল নেয় তালিবান বাহিনী (Taliban)। তারপরও হার মানতে রাজি নন প্রতিরোধ বাহিনীর শীর্ষ নেতা আহমেদ মাসুদ (Ahmed Massoud)। গতকাল রাতেই তিনি ফেসবুকে একটি অডিয়ো বার্তা দিয়ে জানান, প্রতিরোধ বাহিনী এখনও পঞ্জশীরেই উপস্থিত রয়েছে এবং তারা তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

গত ১৫ অগস্টই কাবুলের দখল নিয়েছিল তালিবান, কিন্তু প্রতিরোধ বাহিনীর কারণেই এতদিন পঞ্জশীরের দখল নিতে পারেনি তারা। লাগাতার এক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চালিয়ে অবশেষে সোমবার প্রতিরোধ বাহিনীকে হার মানিয়ে পঞ্জশীর দখল নেয় তালিবান। সূত্রের খবর, তাদের সাহায্য করেছে আল কায়েদা সহ অন্যান্য পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি।

পঞ্জশীরের দখল নেওয়ার পরই তালিবান দাবি করেছিল, তারা প্রতিরোধ বাহিনীর শীর্ষনেতা আহমেদ মাসুদ ও প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিরুল্লাহ সালেহকে বন্দি করা হয়েছে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই মাসুদ পঞ্জশীরকে বাঁচানোর বার্তা দিয়ে  একটি ছবি পোস্ট করেন। এর থেকেই বোঝা যায় তিনি এখনও সুরক্ষিতই রয়েছেন। রাতেই তিনি অডিয়ো বার্তা দিয়ে বলেন, “প্রতিরোধ বাহিনী এখনও পঞ্জশীরেই রয়েছে এবং তারা তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।”

দেশ ও  আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, “সকলেরই উচিত তালিবান বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যোগ দেওয়া। তালিবান বদলে গিয়েছে ঠিকই, তারা আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে।” তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসায় তিনি রাষ্ট্রপুঞ্জকেও দোষারোপ করেন।

সূত্রের দাবি, পঞ্জশীর প্রতিরোধ বাহিনীর নেতা আহমেদ মাসুদ তুরস্কে পালিয়ে গিয়েছেন। তবে আহমেদ মাসুদ নিজের অডিয়ো বার্তায় জানাননি তিনি কোথায় রয়েছেন। পঞ্জশীরের বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিরোধ বাহিনী পঞ্জশীরের পার্বত্য এলাকাগুলিতেই লুকিয়ে রয়েছেন।

গতকালই পঞ্জশীর দখলের পর কাবুলে সাংবাদিক বৈঠক করে তালিবানের মুখপাত্র জাবিদুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, “অবশেষে যুদ্ধ শেষ হল। আশা করছি এ বার শান্তিপূর্ণ আফগানিস্তান গঠন করতে পারব আমরা। যারা হাতে অস্ত্র তুলে নেবে, তারা সাধারণ মানুষ ও দেশের শত্রু বলেই বিবেচিত হবে।”

একইসঙ্গে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করলে তার ফল যে ভাল হবে না, তা স্পষ্টভাবে বোঝাতে জাবিদুল্লাহ বলেন, “যারা কাবুল ছেড়ে পালিয়েছিল, তারা ভেবেছিল তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারবে। আশা করছি এ বার শান্তি বজায় থাকবে। যারাই সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করে, তাদের একইভাবে সামলানো হবে, যেভাবে পঞ্জশীরকে সামলানো হল। দেশের পলাতক শত্রুদের শেষ লুকনোর জায়গাও বর্তমানে আমাদের দখলে। যারা আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিল, তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এখনও আমরা ক্ষমা করে দিতে পারি।”

আরও পড়ুন: বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সারলেন বাংলাদেশের মন্ত্রী, ঢাকায় ভ্যাকসিন পাঠানোর কথা জানিয়েছে দিল্লি 

আরও পড়ুন: পাকিস্তান-বিরোধী স্লোগান উঠতেই ফের গুলি চালাল তালিবান