Breast Milk Donation: ২৬৪৫ লিটার! বুকের দুধ দান করে সাড়ে তিন লক্ষ সদ্যোজাতর প্রাণ বাঁচালেন ‘জগজ্জননী’
Breast Milk Donation: অ্যালিসের এই অভিনব পদক্ষেপ কেবল তাঁকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি গড়ে দেয়নি, বরং অসংখ্য 'প্রিম্যাচিউর'(সময় পূর্বেই জন্ম হয় যাঁদের) সন্তানের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি।
তিনিই যেন বাস্তবের জগজ্জননী। একা হাতেই প্রাণ দান করেছেন সাড়ে তিন লক্ষ শিশুকে। নিজের বুকের দুধ দান করেই বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ৩৬ বছরের মহিলা। আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা অ্যালিস ওগলট্রি এবার নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙে নাম তুললেন গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সম্প্রতি ২৬৪৫.৫৮ লিটার মাতৃদুগ্ধ দান করেন বিশ্ব রেকর্ড করেছেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৬৯.৭৯ লিটার বুকের দুধ দান করে, রেকর্ড করেছিলেন অ্যালিস।
অ্যালিসের এই অভিনব পদক্ষেপ কেবল তাঁকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি গড়ে দেয়নি, বরং অসংখ্য ‘প্রিম্যাচিউর'(সময় পূর্বেই জন্ম হয় যাঁদের) সন্তানের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে নিজের প্রথম সন্তান কাইলের জন্মের পরেই বুকের দুধ দান করা শুরু করেন অ্যালিস।
এই খবরটিও পড়ুন
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে ওগলট্রি বলেন, “আমি অতিরিক্ত দুধ উৎপাদন করছিলাম এবং তা ফেলে দিচ্ছিলাম। যেখানে অন্যান্য মায়েদের দুধ উৎপাদন করতে সংগ্রাম করতে হত, সেখানে অজান্তেই আমি অতিরিক্ত উৎপাদন করছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রথম সন্তান, কাইল তখন হাসপাতালে, অতিরিক্ত দুধ উৎপাদনের ফলে নার্সদের ফ্রিজার ভর্তি হয়ে গিয়েছিল। তখন একজন নার্স প্রথম জিজ্ঞাসা করেন, আমি দুধ দান করছি কিনা? তখনই আমি প্রথম এটা সম্পর্কে জানতে পারি।”
পরবর্তীকালে তাঁর আরও সন্তান হওয়ার সঙ্গে অ্যালিস মাতৃদুগ্ধ দান করাও চালু রাখেন। প্রত্যেক তিন-চার ঘণ্টা অন্তর তিনি পাম্প করে দুধ সংগ্রহ করতেন।
তবে এই বিপুল পরিমণ দুধ উৎপাদন করলেও কখনই তার স্বাস্থ্যে কোনও প্রভাব পড়েনি। বিপুল উৎপাদন ক্ষমতার জন্য সারাদিন পর্যাপ্ত জল খাওয়া, পুষ্টিগুণে ভরপুর ডায়েট এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর ‘ব্রেস্ট পাম্পিং’ রুটিনই দায়ী বলে মনে করেন তিনি।
‘মাদারস মিল্ক ব্যাঙ্ক অব নর্থ টেক্সাস’-এর দেওয়া তথ্য অনুসারে অ্যালিসের এই দান, বিশ্বব্যাপী প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ প্রিম্যাচিউরড শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছে। সাধারণত এক লিটার বুকের দুধ দান করলে তা থেকে প্রায় ১১ জন শিশু উপকৃত হতে পারে।
অ্যালিস বলেন, “আমি সারাদিন প্রচুর জল খাই, ঘড়ি ধরে ব্রেস্ট পাম্পিং করি, স্বাস্থ্য়কর খাবার দাবার খাই, এমনকি পাম্প করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করি। কারণ আমি এটা ভালোবাসি, আমার ভালো লাগে যখন মনে হয় আমি কত শিশুকে সাহায্য করছি।”