AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

US-India Trade: ‘দিনের শেষে ভারতের সঙ্গে এক হয়ে যাব…’, শুল্ক কমিয়ে ফেলবে আমেরিকা? বড় ইঙ্গিত মার্কিন কর্তার

US Tariff on India: যেখানে চিন সহ অনেক দেশের সঙ্গেই আমেরিকা ইতিমধ্যে বাণিজ্যচুক্তি করেছে, সেখানে ভারত-আমেরিকার মধ্যে এখনও কোনও বাণিজ্য চুক্তি হয়নি বলেই জানান মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা ইতিবাচক ছিল।

US-India Trade: 'দিনের শেষে ভারতের সঙ্গে এক হয়ে যাব...', শুল্ক কমিয়ে ফেলবে আমেরিকা? বড় ইঙ্গিত মার্কিন কর্তার
ফাইল চিত্র।Image Credit: PTI
| Updated on: Aug 27, 2025 | 7:37 PM
Share

ওয়াশিংটন: ৫০ শতাংশের শুল্কের খাঁড়া নেমে এসেছে ভারতের উপরে। একাধিক শিল্প, বাণিজ্য আমেরিকার এই শুল্কের কোপে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা। এর মধ্যেই হঠাৎ সুর নরম আমেরিকার।  ভারত-আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক কথা শোনালেন ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট।

ভারত-আমেরিকার সম্পর্ককে ‘জটিল’ বলে উল্লেখ করে বেসেন্ট আবার সম্পর্ক ঠিকঠাক হয়ে যাবে বলেই আশা প্রকাশ করেন। ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বলেন, “আমি মনে করি ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র, আর আমেরিকা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। আমি মনে করি, দিনের শেষে আমরা এক হয়ে যাব।”

যেখানে চিন সহ অনেক দেশের সঙ্গেই আমেরিকা ইতিমধ্যে বাণিজ্যচুক্তি করেছে, সেখানে ভারত-আমেরিকার মধ্যে এখনও কোনও বাণিজ্য চুক্তি হয়নি বলেই জানান মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট। তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা ইতিবাচক ছিল। তারা আশা করেছিলেন যে মে বা জুন মাসের মধ্য়ে বাণিজ্য চুক্তি হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বাধীনতা দিবসের আগেই ভারত শুল্ক নিয়ে দর কষাকষি শুরু করেছিল। এখনও পর্যন্ত কোনও চুক্তি হয়নি। আমি ভেবেছিলাম মে বা জুন মাসের মধ্যে চুক্তি হয়ে যাবে। ভেবেছিলাম, ভারতের সঙ্গেই আগে চুক্তি হবে, সেইভাবেই আলোচনা চলছিল। রাশিয়ান ক্রু় তেল কেনা নিয়েও আলোচনা হয়েছিল।”

শুল্ক চাপালেও, ট্রাম্প-মোদীর মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে,সে কথাও উল্লেখ করেন বেসেন্ট। বলেন, “এটা জটিল সম্পর্ক। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে খুব ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তবে এটা শুধুমাত্র রাশিয়ার তেলের বিষয় নয়। ভারত অনেক বেশি শুল্ক নেয়। আমাদের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে ওদের সঙ্গে।”

ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোয়, এবার ভারত টাকায় বাণিজ্য করবে কি না এবং ব্রিকস দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্য করবে কি না,  এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, রুপির (ভারতীয় মুদ্রা) গ্লোবাল রিজার্ভ কারেন্সি হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “অনেক বিষয় নিয়ে আমি চিন্তা করি, তবে রুপি রিজার্ভ কারেন্সি হয়ে যাওয়ার চিন্তা নেই তাতে।”

প্রসঙ্গত, ভারতের রাশিয়ার থেকে তেল কেনা নিয়ে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি এর আগে বলেছিলেন যে রাশিয়া থেকে তেল কিনে, তা পরিশুদ্ধ করে বিক্রি করা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।  ইউরোপের দেশগুলিকেও আক্রমণ করেছিলেন ভারতীয় রিফাইনারি থেকে তেল কেনার জন্য। সেখানেই আজ তাঁর সুর কিছুটা হলেও নরম।