AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh Road Accident: এমএ সার্টিফিকেট আর দেখানো হল না মা-বোনকে, মহাসড়কেই স্বপ্ন শেষ মিমির

Bangladesh Road Accident: এমএ সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত মিমি। আজ বাংলাদেশের এই পথ দুর্ঘটনায় মোট ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Bangladesh Road Accident: এমএ সার্টিফিকেট আর দেখানো হল না মা-বোনকে, মহাসড়কেই স্বপ্ন শেষ মিমির
মারা গিয়েছেন আফসানা মিমি
| Edited By: | Updated on: Mar 19, 2023 | 9:54 PM
Share

ঢাকা: পথ দুর্ঘটনায় (Road Accident) বহু লোকেরই প্রাণ যায়। শেষ হয় বহু স্বপ্ন। অধরা স্বপ্ন চোখে নিয়েই শেষ হয়ে যায় প্রাণ। সেই মৃত্যু মিছিলে এবার নয়া সংযোজন মিমি। বাংলাদেশের (Bangladesh) উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমি (২৬)। কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেছেন স্নাতকোত্তর। বুক ভরা স্বপ্ন ও উজ্জ্বল চোখ নিয়েই রওনা দিয়েছিলেন এমএ সার্টিফিকেট আনতে। স্বপ্ন ছিল চাকরি করে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন কেড়ে নিল আজকের সড়ক দুর্ঘটনা। সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আফসানার। মিমির সার্টিফিকেট পাওয়া, নাকি তাঁর মৃত্যু শোক। কোনটা পালন করবে তাঁর তা ঠাহর করে উঠতে পারছে না পরিবার।

আজ (১৯ মার্চ) সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে উঠিয়ে দেন। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। নিহত আফসানা মিমির গোপালগঞ্জ শহরের হীরা বাড়ি রোডের বাড়িতে সবাই বলছেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমি হর্টিকালচার নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা হয়ে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। দারিপুর জেলার কুতুবপুর এলাকাতে পদ্মা সেতুতে ওঠার মুখে খাদে পড়ে যায় বাসটি। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমবেশি সব যাত্রীই। মৃতদের মধ্যে একজন ছিলেন আফসানাও।

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আফসানার মা কানিজ ফাতেমা। নিজের মনকে যেন সে বোঝাতেই পারছেন না, তাঁর মেধাবী মেয়ে আর এই ফিরে আসবেন না। তাঁর বাড়িতে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁকে শান্ত করা যাচ্ছে না। শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন প্রতিবেশীরাও। আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোটবেলায় আফসানার বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে আফসানা ও তাঁর বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা কানিজ ফাতেমা। এখন এক মেয়েকে নিয়েই শোকে কাতর কানিজ ফাতেমা।