Bangladesh Violence: সিসিটিভি ফুটেজেই সামনে এল সত্যি, কুমিল্লার ঘটনায় আটক যুবকই ইকবাল, মত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

1 person detained linking to Cummila Incident: বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ কক্সবাজারের সুগন্ধা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।

Bangladesh Violence: সিসিটিভি ফুটেজেই সামনে এল সত্যি, কুমিল্লার ঘটনায় আটক যুবকই ইকবাল, মত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
আটক যুবকই অভিযুক্ত বলে মনে করছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2021 | 2:21 PM

ঢাকা: কুমিল্লার হিংসার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) খতিয়ে দেখে আটক করা হল সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে। ধৃত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। কুমিল্লার দুর্গাপুজো মণ্ডপে ইকবালই পবিত্র কোরান রেখেছিল বলে জানান বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (Asaduzzaman Khan)। শুক্রবার তিনি বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মনে করা হচ্ছে ইকবালই পুজোমণ্ডপে কোরান রেখেছিল।”

দুর্গাপুজো চলাকালীনই কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ের একটি পুজোমণ্ডপে কোরান রাখাকে ঘিরে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে হিংসা ছড়ায়। ভাঙচুর করা হয় বিভিন্ন পুজোমণ্ডপে দুর্গা প্রতিমা ও প্যান্ডেল ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দায় সরব হন দেশ-বিদেশের মানুষ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina) ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে বলেন, “কুমিল্লায় যে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে, সেটা খুব দুঃখজনক। কারণ, মানবধর্মকে সম্মান করাই ইসলামের শিক্ষা। নিজের ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সবার রয়েছে, তেমনই অন্যের ধর্মকেও কেউ হেয় করতে পারে না। এটা ইসলাম শিক্ষা দেয় না। আর নিজের ধর্মকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হয়, অন্য ধর্মকে হেয় করলে নিজের ধর্মকেই অসম্মান করা হয়ে যায়। এই মাটিতে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই যেন ভালোভাবে বাঁচতে পারে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।”

দুর্গামণ্ডপে কোরান রাখা ও তার জেরে হিংসার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তৎপর হয় ব়্যাব। কুমিল্লার ওই পুজোমণ্ডপের আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই ইকবাল হোসেনকে চিহ্নিত করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আন্দাজ, গভীর রাতে স্থানীয় একটি মাজার থেকে পবিত্র কোরান নিয়ে গিয়ে দুর্গামণ্ডপে রেখেছিল ইকবাল।

তবে বারংবার জায়গা বদল করায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছিল না। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ কক্সবাজারের সুগন্ধা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। রাতেই চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক মহম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, আটক করা ইকবাল নামের ওই যুবকই কুমিল্লার ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য তাঁকে কুমিল্লায় পাঠানো হচ্ছে। স্থানীয় পুলিশ তদন্ত করে বিষয়টি পরিচয় নিশ্চিত করবে।

এ দিকে, পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমিল্লার সুজানগরের বাসিন্দা ইকবাল মাদকাসক্ত। কোনও স্থায়ী কাজ করে না, মাঝেমধ্যে বাসের হেল্পার, কখনও বা রংমিস্ত্রির সহকারী হিসাবে কাজ করে। ভবঘুরের মতো জীবন কাটানো ইকবাল প্রায় সময়ই মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত করতেন বলেও জানা গিয়েছে। ইকবালের মা আমেনা বেগম জানান, সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা গিযেছে, তা ইকবালই।