AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ঢাকার আবেদনে অবশেষে সাড়া দিল্লির, চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ উড়ান পরিষেবা

গতবছরের মার্চ মাসে লকডাউন জারি হওয়ার পরই অন্তঃদেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই বছরের অক্টোবর মাসে দুই দেশের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির পর ফের চালু হয় উড়ান পরিষেবা, কিন্তু এপ্রিল মাসেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ফের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

ঢাকার আবেদনে অবশেষে সাড়া দিল্লির, চলতি মাসেই চালু হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ উড়ান পরিষেবা
ফাইল চিত্র
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2021 | 3:26 PM
Share

নয়া দিল্লি: অবশেষে ঢাকা(Dhaka)-র আবেদনে সাড়া দিল দিল্লি (Delhi)। প্রায় চার মাস উড়ান চলাচল বন্ধ থাকার পর আগামী ২২ অগস্ট থেকে পুনরায় চালু হচ্ছে দিল্লি-ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। কলকাতা থেকেও ঢাকাগামী বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

গত সপ্তাহেই বাংলাদেশের অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারতের সঙ্গে বিমান চলাচল যেন ফের একবার শুরু করা হয়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে দিল্লি ও কলকাতা সংযোগকারী বিমান চালানো সম্ভব কিনা, সে বিষয়েও কেন্দ্রীয় উড়ানমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। এরপরই সমস্ত দিক বিচার করেই আগামী ২২ অগস্ট থেকে দ্বি-পাক্ষিক এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে অল্প সংখ্যক বিমান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতিই দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মহম্মদ ইমরান বলেন, “১১ অগস্ট থেকে আমরা এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালুর আবেদন জানিয়েছি। এ বার ভারত সরকার সমস্ত দিক বিচার করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিমান চালুর দিনক্ষণ স্থির করবে।” জবাবে দিল্লির তরফেও জানানো হয়েছিল, সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে শীঘ্রই বিমান পরিষেবা চালু করা হবে।  এরপরই এ দিন অসামরিক উড়ান মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বিমান পরিষেবা সচল করার ঘোষণা করা হয়।

করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে ভিস্তারা, স্পাইসজেট, ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান নিয়মিত ঢাকা ও চট্টগ্রামে যাতাযাত করত। কিন্তু গতবছরের মার্চ মাসে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হওয়ার পরই অন্তঃদেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই বছরের অক্টোবর মাসে দুই দেশের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির পর ফের চালু হয় উড়ান পরিষেবা, কিন্তু এপ্রিল মাসেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ফের বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে বিমান চলাচল বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। এখনও অবধি বাংলাদেশে যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য় দূতাবাস থেকে বিশেষ পারমিটের আবেদন করতে হয়।

এয়ার বাবল কী:

করোনা ভাইরাসের কারণে স্থগিত থাকা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলকে স্বাভাবিক করতে দুই দেশের মধ্যে সাময়িক চুক্তিকেই এক কথায় এয়ার বাবল (Air Bubble) বা ট্রান্সপোর্ট বাবল (Transport Bubble) বলা হয়। এই চুক্তির মাধ্য়মে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে নানা স্থানে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা বা কোয়ারান্টিনে থাকার মতো নানা সমস্যার সম্মুখীন যাতে না হতে হয়, সেই বিষয়টিই নিশ্চিত করা হয়েছে। যে দেশগুলি এই চুক্তির অন্তর্গত রয়েছে, সেই দেশে ভ্রমণ করার জন্য দূতাবাসের অনুমতিও নিতে হবে না যাত্রীদের। তবে প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম স্থির করা হয়েছে যাত্রী সুরক্ষায়। আরও পড়ুন: হাতে বন্দুক নিয়েই চাপল নাগরদোলায়! আফগানবাসীর কান্নাতেও জয়ের আনন্দ তালিবানিদের