Justin Trudeau: ‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’, হঠাৎ উল্টো সুর ট্রুডোর গলায়
India-Canada Relation: তিনি বলেন, "ভারত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং ভূ-রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত বছরই ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনা পেশ করেছিলাম আমরা। ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে আমরা অত্যন্ত সিরিয়াস।"

মন্ট্রেল: ব্যাকফুটে ট্রুডো। খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের হাত রয়েছে, এই দাবি করেই বিতর্ক উসকে দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)। ভারত সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। এরপরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। এই টানাপোড়েন যখন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সময়ই পিছু হটলেন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
নিজ্জরের মৃত্যু ঘিরে কানাডার দোষারোপের পরই কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছে ভারত। কানাডার ভিসায় আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফিরে যেতেও বলা হয়েছে। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডাও। তবে ট্রুডোর এই মন্তব্য়ের বিরোধিতাও করেছেন সে দেশের কয়েকজন মন্ত্রী। এবার উল্টো সুর খোদ প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর গলাতেও। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে কানাডা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বমঞ্চে ভারতের যেভাবে গুরুত্ব বাড়ছে, সে কথা মাথায় রেখে ভারতের সঙ্গে কানাডা ও তার বন্ধু দেশগুলির সম্পর্ক বজায় রাখা অত্য়ন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, “ভারত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং ভূ-রাজনৈতিক নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। গত বছরই ইন্দো-প্যাসিফিক পরিকল্পনা পেশ করেছিলাম আমরা। ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে আমরা অত্যন্ত সিরিয়াস।”
খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড ও তার জেরে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরার প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “একইসঙ্গে আমাদের দেশের নিয়ম মেনে ভারতকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে আসল সত্যিটা সামনে আনার জন্য।”
ট্রুডো জানান, আমেরিকার কাছে থেকে তিনি আশ্বাস পেয়েছেন যে মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় নিজ্জরের হত্য়ার বিষয়টি তুলে ধরবেন।
