China Virus Outbreak: ‘দ্বিতীয় করোনা’ চলে এল কী? চিনে ফের নতুন ভাইরাসের দাপাদাপি, হাসপাতাল-শ্মশানে উপচে পড়া ভিড়!
China Virus Outbreak: ইতিমধ্যেই চিনের বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। শ্মশানেও লাইন পড়ছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে হাসপাতালে মাস্ক পরা অসুস্থ মানুষদের ব্য়াপক ভিড় দেখা যাচ্ছে।
বেজিং: আবার ভাইরাস আতঙ্ক। আবার চর্চায় সেই চিন। করোনা ভাইরাসের পর এবার চিনে ছড়াচ্ছে নতুন এক ভাইরাস। নাম হিউম্য়ান মেটানিউমোভাইরাস (Human Metapneumovirus)। ঠিক যেমনভাবে ২০২০ সালের গোড়ায় হু হু করে প্রথমে চিন ও পরে গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, একইভাবে মেটানিউমোভাইরাসও চিনে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চিনের বিভিন্ন প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। শ্মশানেও লাইন পড়ছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিয়োও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে হাসপাতালে মাস্ক পরা অসুস্থ মানুষদের ব্য়াপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, নতুন করে কোভিড সংক্রমণ যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-র মতো ভাইরাসে আক্রান্তও বাড়ছে।
⚠️ BREAKING:
China 🇨🇳 Declares State of Emergency as Epidemic Overwhelms Hospitals and Crematoriums.
Multiple viruses, including Influenza A, HMPV, Mycoplasma pneumoniae, and COVID-19, are spreading rapidly across China. pic.twitter.com/GRV3XYgrYX
— SARS‑CoV‑2 (COVID-19) (@COVID19_disease) January 1, 2025
হিউম্য়ান মেটানিউমোভাইরাস কী?
চিনে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন ভাইরাস সম্পর্কে যেটুকু তথ্য জানা গিয়েছে, তা হল হিউম্য়ান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি সংক্রমণের উপসর্গও অনেকটা ফ্লুয়ের মতো। করোনার ক্ষেত্রে যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা থেকে শারীরিক দুর্বলতার মতো নানা উপসর্গ ছিল, এই ভাইরাস সংক্রমণেও প্রায় একই ধরনের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। শিশুরাও নিউমোনিয়া ও ‘হোয়াইট লাংস’-র মতো সংক্রমণে ভুগছে। জানা গিয়েছে, মূলত ১৬ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্য়েই সংক্রমণ দ্রুত বেড়েছে।
চিনের রোগ নিয়ন্ত্রণ দফতর জানিয়েছে, তারা গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। শীতকালে শ্বাসযন্ত্র সংক্রমণের মতো রোগ বাড়ে। তবে অজানা প্যাথোজেন শনাক্ত করতে প্রোটোকল তৈরি করা হচ্ছে। ল্যাবরেটরিতে রিপোর্ট তৈরি ও রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে। ৫ বছর আগে, করোনা সংক্রমণের মতো পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না বলেই তারা আশ্বাস দিয়েছে।