China: চিনের নতুন শয়তানি! যুদ্ধ না করেই ভাতে মারছে তাইওয়ানকে, ভারতের সঙ্গেও একই ষড়যন্ত্র করবে?

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 26, 2025 | 12:40 PM

China-Taiwan: ২০২৬ সালে তাইওয়ানের জলসীমায় চিনের জাহাজ ঢুকিয়ে দেওয়া। তারপর জলসীমা নিয়ে বিরোধকে অজুহাত করে তাইওয়ানে সেনা ঢোকানোর ছক। এই গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর উদ্বেগে রয়েছে আমেরিকা। কারণ চিন সত্যিই একবার তাইওয়ানে গেঁড়ে বসলে দক্ষিণ চিন সাগরের নকশা বদলে যাবে।

China: চিনের নতুন শয়তানি! যুদ্ধ না করেই ভাতে মারছে তাইওয়ানকে, ভারতের সঙ্গেও একই ষড়যন্ত্র করবে?
ফাইল চিত্র।
Image Credit source: PTI

Follow Us

ওয়াশিংটন: মাার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণে অতিথিদের মধ্যে ফার্স্ট রো-এ ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। অধিকাংশ ইউরোপিয়ান দেশের প্রতিনিধিদের আসন ছিল দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারিতে। বিষয়টা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা চলছে। ট্রাম্পের শপথের পর নতুন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও-র সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, বাংলাদেশ, রাশিয়া, ইউক্রেন ছাড়াও বিদেশমন্ত্রী ও মার্কিন বিদেশসচিবের মধ্যে নতুন একটা ইস্যুতে কথা হয়েছে। তাইওয়ান নিয়ে ভারতের মত জানতে চেয়েছে আমেরিকা। মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের কাছে খবর, ২০২৭ সালে তাইওয়ান নিয়ে বড়সড় কোনও পদক্ষেপ করবে চিন। এখন তার প্রস্তুতি চলছে।

প্রস্তুতির তিনটে ধাপ। প্রথমত, জল ও আকাশ পথে বারবার তাইওয়ানে ঢুকে পড়া। দ্বিতীয়ত, তাইওয়ানের ঘাড়ের কাছে সেনা মহড়া চালিয়ে যাওয়া। আর তৃতীয়ত, ২০২৬ সালে তাইওয়ানের জলসীমায় চিনের জাহাজ ঢুকিয়ে দেওয়া। তারপর জলসীমা নিয়ে বিরোধকে অজুহাত করে তাইওয়ানে সেনা ঢোকানো। এই গোয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর উদ্বেগে রয়েছে আমেরিকা। কারণ চিন সত্যিই একবার তাইওয়ানে গেঁড়ে বসলে দক্ষিণ চিন সাগরের নকশা বদলে যাবে। চিনের জলসীমা অনেকটা বেড়ে যাবে। প্রশান্ত মহাসাগরে আমেরিকার উপর চাপ বাড়বে।

তবে চিন শুধু ২০২৭ সালের দিকে তাকিয়ে বসে আছে ভাবলে ভুল হবে। তাইওয়ানকে ভাতে মারতে মারাত্মক একটা প্ল্যান করেছে জিনপিং প্রশাসন। সমুদ্রের গভীরে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল কেটে দিলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। তাইওয়ানের চিপ ফ্যাক্টরিগুলোয় উত্‍পাদন বন্ধ হয়ে যাবে। এটাই চিনের প্ল্যান। তাইপেই বলছে, চিনা জাহাজ আমাদের জলসীমায় আসছে-যাচ্ছে। ওরা জলের নীচে কেবলগুলো কেটে দিচ্ছে। কাজ হয়ে গেলে পালিয়ে যাচ্ছে।

শুনসিন ৩৯ নামে একটা জাহাজকে হাতেনাতে ধরাও হয়েছিল। যার নাবিকরা সবাই চিনের নাগরিক। তাঁদের কাছে অপটিক্যাল কেবলের যন্ত্রপাতিও ছিল। এই শুনসিন ৩৯ জাহাজটা আসলে হংকংয়ের এক ব্যবসায়ীর। চিনের একটা বাণিজ্যিক সংস্থা সেটা লিজে নিয়েছে। তাই এর সঙ্গে সরাসরি লালফৌজের যোগ প্রমাণ করা কঠিন। তবে আগেও বেশ কয়েকবার একই কাজ করেছে চিন।

২০২৩ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে মাত্‍সু দ্বীপপুঞ্জের সংযোগকারী জলপথের কেবল কেটে দেয় পিএলএ। সেই সময় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক আইনে মেনে বিপুল ক্ষতিপূরণ দিতে হয় তাইওয়ানকে। এটাই চিনের নতুন শয়তানি। তাইওয়ান সরকার দাবি করছে, মুখোমুখি যুদ্ধের বদলে এভাবে তাঁদের অর্থনীতিতে পঙ্গু করতেই চিনের এই ফন্দি। চিন যদি সত্যিই তাইওয়ান নিয়ে এবার বড় কিছু ঘটিয়ে ফেলে, তা হলে আমেরিকা কী করবে? প্রশান্ত মহাসাগরে চিনের সঙ্গে টক্কর নেওয়ার ক্ষমতা ট্রাম্পের আছে কী? আমেরিকা কিন্তু জোর গলায় কিছু বলতে পারছে না।

Next Article