Xi Jinping: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফেরাবে চিন? জিনপিংয়ের মস্কো সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
Russia-Ukraine Conflict: রাশিয়া সফর গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে জিনপিং কথা বলতে পারেন বলেও গুজব ছড়িয়েছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বে রাশিয়ার পাশেই শুরু থেকে রয়েছে চিন।
বেজিং: ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এক বছর পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও এখনও সেখানে যুদ্ধবিরতি হওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। আগের থেকে যুদ্ধের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। তবে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় এখনও চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। ইউক্রেন সেনাও প্রতিরোধ করছে। আন্তর্জাতিক মহলের বিভিন্ন চেষ্টা সত্ত্বেও রুশ আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই সোমবার রাশিয়ায় যাবেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে গিয়ে শান্তিস্থাপকের ভূমিকা নিতে পারে চিন। অন্তত এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাশিয়া সফর গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে জিনপিং কথা বলতে পারেন বলেও গুজব ছড়িয়েছে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বে রাশিয়ার পাশেই শুরু থেকে রয়েছে চিন। সরাসরি রাশিয়াকে সাহায্য না করলেও পশ্চিমী দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সময়ে মস্কোর পাশেই ছিল বন্ধু বেজিং।
রাশিয়া চিনের পুরনো বন্ধু। বিশেষত আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির জোটের বিরুদ্ধে যদি কোনও অক্ষ ঘঠিত হয়, তাতে প্রথম দুই নাম রাশিয়া ও চিন। ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমী দুনিয়া এক ঘরে করার চেষ্টা করেছে রাশিয়াকে। অন্য দিকে তাইওয়ানে আমেরিকার উচ্চ পদস্থ পদাধিকারদের সফর আরও কাছাকাছি এনেছে চিন ও রাশিয়াকে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জিনপিংয়ের রাশিয়া সফরের ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সফরের ব্যাপারে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছিলেন, শান্তি স্থাপনে উদ্যোগ নেবেন চিনা প্রেসিডেন্ট। এই সফরের ব্যাপারে বেজিংয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং ওয়াইয়েই বলেছেন, “যুদ্ধ বন্ধ করা সকলেরই ইচ্ছা। কারণ পশ্চিমী দুনিয়া ও আমেরিকা ইউক্রেনকে যতদিন ধরে সাহায্য করবে ভেবেছিল, তা পারবে না। কিন্তু চিন দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করার ক্ষমতা রাখে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিশ্বাসযোগ্য বন্ধু হতে পারে।”
যদিও চিন রাশিয়া-ইউক্রেনের দ্বন্দ্ব মেটাতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের একাংশের বিশেষজ্ঞ মহলের। এ নিয়ে চিনের বিদেশ নীতির উপরে কাজ করা আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেছেন, “ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে বেজিং খুবই নগন্য উদ্যোগ নিয়েছে। রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি বা রাশিয়াকে প্রকাশ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে কখনও বলেনি চিন।” তবে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারির করার পর জিংপিন যাবেন সেখানে। চিনা প্রেসিডেন্টের এই রাশিয়া সফরে নজর রাখছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া।