Iran vs Pakistan Military: ইরান না পাকিস্তান! দুই মুসলিম প্রধান দেশের যুদ্ধ হলে শক্তিতে এগিয়ে থাকবে কে?
দুই দেশে মুসলিম প্রধান হলেও পাকিস্তানে সুন্নি মুসলিমদের আধিক্য। ইরানে আধিক্য শিয়াদের। একে অপরের মাটিতে হামলা চালানো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে যদি যুদ্ধ শুরু, তাহলে সেনাবাহিনীর শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকবে কোন দেশ?

ইসলামাবাদ ও তেহরান: পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ইরান। সেই হামলায় দুই শিশুর মৃত্যুর পাশাপাশি বেশ কয়েকজন শিশু আহত হয়। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে ইসলামাবাদ। এর পরই ইরানে পাল্টা হামলা চালায় ইলামাবাদ। এই ঘটনার পরম্পরায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুসলিম প্রধান দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশে মুসলিম প্রধান হলেও পাকিস্তানে সুন্নি মুসলিমদের আধিক্য। ইরানে আধিক্য শিয়াদের। একে অপরের মাটিতে হামলা চালানো নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে যদি যুদ্ধ শুরু, তাহলে সেনাবাহিনীর শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকবে কোন দেশ?
সেনার ব়্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে ইরানের থেকে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। স্থলসেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা তিন বিভাগেই কিছুটা হলেও এগিয়ে পাকিস্তান। সামগ্রিক ব়্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে আছে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। সেনার শক্তির ক্রমতালিকায় বিশ্বের নবম স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। সেখানে ইরানের স্থান ১৪। যদিও শুধু সেনার শক্তি দিয়েই কোনও দেশের শক্তি নির্ভর করে না। সেখানে সেনার শক্তির পাশাপাশি প্রাকৃতিক সম্পদ এবং অর্থনৈতিক শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ। এই সব ক্ষেত্রে আবার পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে ইরান।
সেনাবাহিনীর সদস্যের নিরিখে ইরানের থেকে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। ইরান সেনার সক্রিয় সদস্য সংখ্যা ৬ লক্ষ ১০ হাজার। সেখানে পাকিস্তানের সক্রিয় সদস্য ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার। রিজার্ভ ফোর্সেও এগিয়ে পাকিস্তান। ইরানের সাড়ে তিন লক্ষ রিজার্ভ ফোর্স। পাকিস্তানে সাড়ে পাঁচ লক্ষ। প্যারামিলিটারি ফোর্সেও ইরানের থেকে এগিয়ে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের থেকে ইরানের প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট অনেক বেশি। ডিফেন্স বাজেটেরপ নিরিখে পাকিস্তানের ব়্যাঙ্কিং ৪৭। ইরানের ৩৩।
বায়ুসেনার শক্তির নিরিখে পাকিস্তান এগিয়ে রয়েছে ইরানের থেকে। ইরানের হাতে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা ১৮৬। পাকিস্তানের ৩৮৭। ইরানের হাতে হেলিকপ্টার রয়েছে ১২৯। পাকিস্তানের হাতে ৩৫২। এর মধ্যে ৫৭ অ্যাটাক হেলিকপ্টার রয়েছে পাকিস্তানের। ইরানের রয়েছে মাত্র ১৩টি। যুদ্ধের ট্যাঙ্কও ইরানের থেকে বেশি রয়েছে পাকিস্তানের। ইরানের ট্যাঙ্কের সংখ্যা ১৯৯৬। পাকিস্তানের ৩৭৪২। যদিও আর্মড ভেহিক্যাল পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি রয়েছে ইরানের।
তবে দুই দেশের কারও হাতেই কোনও এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার নেই। কিন্তু ইরানের কাছে অনেক বেশি সাবমেরিন রয়েছে পাকিস্তানের তুলনায়। ইরানের সাবমেরিন রয়েছে ১৯টি। পাকিস্তানের ৮টি। আবার বিমানবন্দর, নৌবন্দরের সংখ্যা পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি ইরানের। কিন্তু যুদ্ধের ভবিষ্যত সব সময় সামরিক শক্তির নিরিখে নির্ণয় হয় না। পরিস্থিতির উপরও তা নির্ভর করে। রাশিয়া-ইউক্রেন, ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের পর এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগলে তার পরিণাম যে এশিয়ার মহাদেশের পক্ষে মোটেও সুখকর হবে না।
