ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন দর্শকাসনের জোরালো বিস্ফোরণ! আত্মঘাতী হামলায় কেঁপে উঠল কাবুল
Kabul Explosion: কাবুলে বড়সড় বিস্ফোরণ। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগান রাজধানীর 'আলোকোজায়ে কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে'।

কাবুল:
কাবুলে বড়সড় বিস্ফোরণ। শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল আফগান রাজধানীর ‘আলোকোজায়ে কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে’। শ্পেজেজা টি-টোয়েন্টি লিগের ম্যাচ চলাকালীন, স্ট্যান্ডে বসে থাকা দর্শকদের মধ্যেই বিস্ফোরণটি ঘটে। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। তবে, অন্য একটি মতে কাবুল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ডে রাখা একটি আইইডি থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। তড়িঘড়ি দুই পক্ষের খেলোয়াড়দেরই একটি বাঙ্কারের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার সময় স্টেডিয়ামে রাষ্ট্রসংঘের কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের পরই স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
জানা গিয়েছে এদিন, কাবুল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে পামির জালমি এবং বন্দ-এ-আমির ড্রাগনস দলের মধ্যে শাপেজেজা ক্রিকেট লিগের ২২ তম লিগ ম্যাচ চলছিল। খেলা চলাকালীনই এই ঘটনা ঘটে। কাবুল পুলিশের সদর দফতরের পক্ষ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বেসরকারি মতে এই ঘটনায় কমপক্ষে নয়জন আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০২১ সালের অগস্টে তালিবানরা ক্ষমতা পুনর্দখল করার পর থেকে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলার কবলে পড়েছে আফগানিস্তানের রাজধানী। প্রায় প্রতিটি হামলার পিছনেই ছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী। সম্প্রতি আইএস জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি ধর্মস্থলকেও নিশানা করেছে। মে মাসে, চলতি বছরের সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটেছিল কাবুল এবং উত্তরের শহর মাজার-ই-শরিফে। মোট চারটি বিস্ফোরণে ১৪ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কাবুলের কার্তে পারওয়ান গুরুদ্বারের কাছে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ইসলামিক স্টেট খোরসান প্রদেশ বা আইএসকেপির সেই হামলাতেও বেশ কয়েকজন শিখ এবং তালিবান সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল।
শ্পেজেজা ক্রিকেট লিগ একটি আইপিএল ধাঁচের পেশাদার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ। ২০১৩ সালে এই লিগ চালু করেছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। প্রাথমিকভাবে, এই টুর্নামেন্টে পাঁচটি দল ছিল। কিন্তু, এরপর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সম্ভাব্য পাওয়ার হাউস হিসেবে উত্থান ঘটে আফগানিস্তানের। পরবর্তীকালে এই টুর্নামেন্টে আরও তিনটি দল যুক্ত হয়েছে।
