AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: নৃশংসতার সব সীমা পার, বাংলাদেশে পিটিয়ে-থেঁতলে খুন ব্যবসায়ীকে, মৃতদেহের উপরে নাচল খুনিরা

Bangladesh: মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। প্রথমে মারধর করা হয় তাঁকে, তারপর ইট-পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয় তাঁকে। খুনের পর অভিযুক্তরা তাঁর দেহের উপরে উঠে নাচানাচিও করে।

Bangladesh: নৃশংসতার সব সীমা পার, বাংলাদেশে পিটিয়ে-থেঁতলে খুন ব্যবসায়ীকে, মৃতদেহের উপরে নাচল খুনিরা
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: X
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2025 | 11:42 AM
Share

ঢাকা: ওপার বাংলায় প্রকাশ্যে খুন ব্যবসায়ী। হত্যার পর তাঁর মৃতদেহের উপরে উঠে নাচল খুনিরা। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ঘৃণ্য ভিডিয়ো।

জানা গিয়েছে , বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা ছিলেন লালচাঁদ সোহাগ। তিনি ভাঙাচোরা জিনিসপত্র অর্থাৎ স্ক্রাপের ব্যবসায়ী ছিলেন। গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। প্রথমে মারধর করা হয় তাঁকে, তারপর ইট-পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয় তাঁকে। খুনের পর অভিযুক্তরা তাঁর দেহের উপরে উঠে নাচানাচিও করে।

নৃশংস খুনের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই দেশে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার কয়েকশো পড়ুয়া রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় এবং মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে। সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে লালচাঁদের বোন পুলিশে অভিযোগ জানান। পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। আরও ২০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নামে মামলা করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, এক সময় লালচাঁদ বিএনপি কর্মী ছিলেন। তিনি বিএনপি-র হয়ে চাঁদা তুলতেন। বিএনপি নেতা ইসহাকের হাতে সেই চাঁদা তুলে দিতেন। সম্প্রতিই এই চাঁদা তোলার অঙ্ক বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং লালচাঁদকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি অন্য বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করলে, সম্ভবত ইসহাকের সমর্থকরাই পিটিয়ে খুন করে। 

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছেন, মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বর্বর। একটি সভ্য সমাজে এই ধরনের ঘটনার কোনও স্থান নেই। সরকার এই ঘটনাটিকে গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে এবং শীঘ্রই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত  ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে যাতে ভুক্তভোগীর পরিবার দ্রুত ন্যায়বিচার পেতে পারে এবং সমাজে আইনের প্রতি ভয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

(ভ্রম সংশোধন-এই প্রতিবেদনে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। বিভিন্নভাবে তথ্য তালাশ করে জানা গিয়েছে, তথ্যটি ভুল ছিল। সংশোধন করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।)