Pakistan: পাকিস্তানে খুন একের পর এক শীর্ষস্থানীয় লস্কর কমান্ডার, কারা মারছে? ধাঁধায় পুলিশ
Key LeT commander killed in Pakistan: শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভোরে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হাতে খুন হল লস্কর-ই-তৈবার এই শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার, আক্রম খান ওরফে গাজি। ফলে, এক সপ্তাহের মধ্যেই খুন হল লস্করের দুই প্রধান কমান্ডার, যাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভারতে, বিশেষ করে কাশ্মীর উপত্যকায় নাশকতা ঘটানো।

ইসলামাবাদ: ভারতে হামলা চালানোই ছিল তার প্রধান লক্ষ্য। ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে, সেই ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার মূল রিক্রুটার। অর্থাৎ, তার হাত ধরেই জঙ্গি দলে যোগ দিয়েছে বহু যুবক। কাশ্মীর উপত্যকায় হামলাকারী অনেক জঙ্গিরই মগজ ধোলাই করেছিল সে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) ভোরে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হাতে খুন হল লস্কর-ই-তৈবার এই শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার, আক্রম খান ওরফে গাজি। ফলে, এক সপ্তাহের মধ্যেই খুন হল লস্করের দুই প্রধান কমান্ডার, যাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল ভারতে, বিশেষ করে কাশ্মীর উপত্যকায় নাশকতা ঘটানো।
সূত্রের খবর, লস্করের কেন্দ্রীয় নিয়োগ কমিটির অন্যতম সদস্য ছিল এই গাজি। ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক ভাষণ দেওয়ার জন্য কুখ্যাত ছিল সে। খাইবার পাখতুনখোয়ার বাজাউর জেলায়, কয়েকজন বাইকআরোহী এসে তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই অবশ্য এই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে সূত্র। আসলে গাজির হত্যা শুধু লস্করের জন্য়ই নয়, আইএসআই-এর জন্য়ও বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। গত রবিবারই, অপহরণ করা হয়েছিল লস্করের আরেক কমান্ডার খোয়াজা শহিদকে। ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের সুনজাওয়ান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল সে। পরে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই এক জায়গায় তার মাথা কটা দেহ পাওয়া গিয়েছিল।
কিন্তু, কারা একের পর এক হত্যা করছে লস্কর জঙ্গি নেতাদের? সূত্রের খবর, এর পিছনে স্থানীয় শত্রুদের হাত থাকতে পারে। স্থানীয় বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, যারা লস্করের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সহমত নয়। এছাড়া, লস্করের অন্দরেও এখন বেশ ঝামেলা চলছে বলে শোনা যাচ্ছে। কাজেই এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার হত্যার পিছনে লস্করের অন্তর্দ্বন্দ্বও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গাজির হত্যার পর অন্তত এই দুই সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে পাকিস্তানি পুলিশ, এমনটাই জানিয়েছে পাক পুলিশের এক সূত্র।
এর আগে, করাচির গুলিস্তান এলাকায় খুন হয়েছিল লস্কর জঙ্গি নেতা মৌলানা জিয়ায়ুর রহমান এবং মুফতি কাইজার ফারুক। ১০ অক্টোবর, শিয়ালকোটের এক মসজিদে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের হাতেই খুন হয়েছিল জইশ-ই-মহম্মদ নেতা শহিদ লতিফের। ২০১৬ সালে পাঠানকোটে হামলা চালিয়েছিল যে বাহিনী, তাদের প্রধান হ্যান্ডলার ছিল সে।
