Kim Jong Un: মদ ও সিগারেটে ডুবে কিম জং উন, হঠাৎ কী হল উত্তর কোরিয়ার শাসকের

উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি সম্প্রতি বিদেশি ব্রান্ডের প্রচুর সিগারেট আমদানি করেছে। মালবোরো, ডানহিলের মতো জনপ্রিয় সিগারেট আমদানি করেছে কিমের দেশ। কিমের জন্যই এই আমদানি বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

Kim Jong Un: মদ ও সিগারেটে ডুবে কিম জং উন, হঠাৎ কী হল উত্তর কোরিয়ার শাসকের
উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2023 | 4:11 PM

সিওল: উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন অনিদ্রার রোগে নাকি ভুগছেন। একনায়ক এই শাসকের অ্যালকোহল ও নিকোটিনের প্রতি নির্ভরতা খুব বাজে পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। সম্প্রতি এ রকমই তথ্য সামনে এসেছে। ব্লুমবার্গে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার এক গুপ্তচর সংস্থা কিমের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে এই সব তথ্য জানিয়েছে বলে দাবি। ওই প্রতিবেদনে ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন খুব উদগ্রীব হয়ে ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার রোগের ব্যাপারে তথ্য জোগাড় করছে। এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। এমনকি ইনসমনিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত জলপিডেমের মতো ওষুধের ব্যবহার নিয়েও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে উত্তর কোরীয় প্রশাসন।

দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার সেই রিপোর্টের সারাংশ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ইও সাং বাম নামের দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রতিনিধি। শাসকদের এই সদস্য ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স সার্ভিসের রিপোর্টের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি সম্প্রতি বিদেশি ব্রান্ডের প্রচুর সিগারেট আমদানি করেছে। মালবোরো, ডানহিলের মতো জনপ্রিয় সিগারেট আমদানি করেছে কিমের দেশ। কিমের জন্যই এই আমদানি বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এর পাশাপাশি কিমের ওজন অনেকটাই বেড়েছে বলে দাবি। কিমের বর্তমান ওজন ১৪০ কেজি ছাড়িয়েছে বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার।

কিমের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ওই আইনপ্রণেতা বলেছেন, “কিম বেশ কিছু চক্রে আবদ্ধ। মদ ও ধূমপানের উপর তাঁর নির্ভরতা বেড়েছে। অনিদ্রার সমস্যার জেরেই এই নির্ভরতা বেড়েছে কিমের। এর জেরে কিমের চোখের তলায় কালো দাগ আরও স্পষ্ট হয়েছে। ১৬ মে তিনি যখন জনসমক্ষে এসেছিলেন তখন তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল।” উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে বলেও সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন ইও সাং বাম। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ায় খাদ্যশস্যের অভাব বাড়ছে। জিনিসের দামও বেড়েছে। ক্ষিদের জেরে মৃত্যুর ঘটনাও কিমের দেশে সম্প্রতি ঘটেছে বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থার।