Vladimir Putin: পুতিনের ‘বিশেষ বান্ধবী’-কে চেনেন? ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও উঠে আসল এই লাস্যময়ীর নাম
Russia-Ukraine Conflict: জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইংরাজি ভাষায় দায়ের করা ওই পিটিশনে ৫৫ হাজার সই রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইউক্রেন, রাশিয়া ও বেলারুশের বাসিন্দা।
মস্কো: প্রায় একমাস হয়ে গেলে, রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) লড়াই থামতেই চাইছে না। দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার আলোচনা হলেও যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই। দু’দেশের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সব থেকে বেশি চর্চায় যিনি থেকেছেন, তিনি রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত জীবন, তাঁর পরিবার, তাঁর কালো ও সাদা টাকার হিসেব অথবা তাঁর ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এবার চর্চায় ‘বিশেষ বান্ধবী’। জানা গিয়েছে পুতিনের বান্ধবীকে সুইজারল্যান্ডে বিলাসবহুল বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। পুতিন বিরোধীরা ৩৮ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ আলিনা কাবায়েভাকে (Alina Kabaeva) দেশে থেকে বের করে দেওয়ার জন্য সুইজারল্যান্ডের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল পুতিন ও আলিনা গোপন সন্তানদের নিয়ে ওই মহিলা একটি বিলাসবহুল বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে।
জার্মান, ফ্রেঞ্চ ও ইংরাজি ভাষায় দায়ের করা ওই পিটিশনে ৫৫ হাজার সই রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ইউক্রেন, রাশিয়া ও বেলারুশের বাসিন্দা। আলিনাকে হিটলারে স্ত্রী-র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল। ওই পিটিশনে আবেদন করা হয়েছে এবার নিরপেক্ষ সুইজারল্যান্ডের উচিৎ তাঁকে পুতিনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া। বিভিন্ন মহলে দাবি, ওই অলিম্পিকে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ওই ক্রীড়াবিদকে চলতি মাসেই সুইজারল্যান্ডের এই বিশেষ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে আরও একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে পুতিন বিরোধীর আলিনাকে টার্গেট পারে এই সম্ভাবনা থেকে তাঁকে সাইবেরিয়ার একটি বিশেষ বাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
View this post on Instagram
আলিনা কাবায়েভাকে রাশিয়ার সব থেকে ‘সব থেকে স্থিতিস্থাপক মহিলার’ তকমা দেওয়া হয়েছে। অনেকেই দাবি করে, ২০১৩ সালে নিজের প্রথম স্ত্রী লিউডমিলাকে বিচ্ছেদ দিয়ে গোপনে আলিনাকে বিয়ে করেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। যদিও ক্রেমলিনের তরফে বারবার এই জাতীয় দাবি খারিজ করে হয়েছে। প্রাক্তন এই ক্রীড়াবিদ পুতিনের ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির হয়ে রুশ সংসদের সদস্য হিসেবে ৬ বছর কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি দল ছেড়ে জাতীয় সংবাদ গোষ্ঠীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন Afghanistan Issue: দুর্দিনের শেষ কবে? স্বপ্ন অসম্পূর্ণ, আফগান মেয়েদের আপাতত ফিরে আসা হবে না!