চিন সখ্যই দায় হল! দল থেকে বহিষ্কৃত নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি

পার্টির ওলি বিরোধী শিবিরের মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ রবিবার জানান, তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

চিন সখ্যই দায় হল! দল থেকে বহিষ্কৃত নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 25, 2021 | 1:38 PM

কাঠমাণ্ডু: নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে (Oli) বহিষ্কার করল সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকুমার দহাল ওরফে প্রচণ্ডর সঙ্গে সংঘাতের জেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে অনুমান বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। শুক্রবারই প্রচণ্ডর গোষ্ঠী ওলির সদস্যপদ খারিজ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রাস্তায়ও নেমেছিল প্রচণ্ড শিবির। তার ২ দিন কাটতে না কাটতেই ওলির সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নিল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি।

পার্টির ওলি বিরোধী শিবিরের মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠ রবিবার জানান, তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ওলি দেশের সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গত ২০ ডিসেম্বর। তখনও কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল ও মাধব নেপালের সঙ্গে মতবিরোধের প্রসঙ্গ। তখন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, দলের অন্দরেই কোমঠাসা হয়ে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওলি।

চলতি বছরের এপ্রিল-মে মাসে সে দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। তাতে অনুমোদনও দিয়েছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারি। সেই আবহেই রবিবার নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল কমিটির একটি অংশের বৈঠকের পরে ওলির বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সদস্যপদ প্রত্যাহারের পর এখনও মুখ খোলেনি ওলি গোষ্ঠী।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ব্রাজিলের চার ফুটবলার

প্রসঙ্গত, ওলির আমলে চিনের সঙ্গে সখ্য বেড়েছে নেপালের। ভারত-বিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে ওলিকে। তাঁর আমলেই ভারতীয় ভূখণ্ডকেও নেপালের অন্তর্গত করে ম্যাপ প্রকাশ করেছিল কাঠমাণ্ডু। যার পিছনে চিনের ইন্ধনের প্রসঙ্গ এনেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি নেপালের ক্ষমতা প্রচণ্ডর হাতে যায়, তাহলে চিনের সঙ্গে নেপালের দূরত্ব বৃদ্ধি পাবে। ফলস্বরূপ ভারতের ঘনিষ্ঠ হবে নেপাল।