Imran Khan: উপ-নির্বাচনে একের পর এক ‘ছক্কা’, ৮ আসনে জিতে ‘ক্যামবাকে’র বার্তা দিলেন ইমরান

Pakistan By-Election: রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ, শেষ হয় বিকেল ৫টায়। এরপর শুরু হয় ভোটগণনা। আপাতভাবে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চললেও, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পিটিআই ও আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

Imran Khan: উপ-নির্বাচনে একের পর এক 'ছক্কা', ৮ আসনে জিতে 'ক্যামবাকে'র বার্তা দিলেন ইমরান
জয়ের পর উচ্ছাস ইমরান খানের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 17, 2022 | 12:13 PM

ইসলামাবাদ:  ক্রিজ থেকে তাঁকে সরানো এত সহজ নয়।  প্রধানমন্ত্রীর গদি যখন খুইয়েছিলেন, তখনই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন যে আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবেন। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেই এবার নির্বাচনে বড় জয় অর্জন করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খান। উপ-নির্বাচনে শাসক দলকে হারিয়ে ১০টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনেই জয়লাভ করল ইমরান খানের দল। জানা গিয়েছে, ৬টি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও ২টি পঞ্জাব অ্যাসেম্বলির আসনে জয়ী হয়েছে ইমরান খানের দল।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের তথ্য অনুযায়ী, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৭টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, পঞ্জাব প্রদেশের ৩টি অ্যাসেম্বলিতেও প্রার্থী দাঁড়িয়েছিল। এরমধ্যে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৬টি আসন ও পঞ্জাব অ্যাসেম্বলির ২টি আসনেই জয়ী হয়েছে। মর্দান, চারসাদ্দা, ফইসলাবাদ, নানকানা সাহিব ও পেশওয়ারের আসনে শাসক জোটের প্রার্থীদের হারিয়ে জয়ী হয়েছেন পিটিআইয়ের প্রার্থীরা। পঞ্জাব প্রদেশে খানেওয়াল, শেখুপুরা ও বাহাওয়ালনগরেও জয়ী হয়েছে ইমরান খানের দল। তবে মুলতান ও মালির-দ্বিতীয় বিধানসভায় হেরে গিয়েছে পিটিআই। ২০১৮ সালে এই আসনগুলিতে জয়ী হয়েছিল পিটিআই।

রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ, শেষ হয় বিকেল ৫টায়। এরপর শুরু হয় ভোটগণনা। আপাতভাবে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চললেও, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় পিটিআই ও আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। অন্যদিকে, পিটিআই কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, করাচীতে তাদের উপরে হামলা করা হয়েছে। ভোট রিগিংয়েরও অভিযোগ করা হয়েছে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্বাচন বিধিভঙ্গের মোট ১৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে।

এদিকে, নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবিতেও ফের একবার সরব হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই আস্থা ভোটে হেরে গদিচ্যুত হন ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন শাহবাজ শরিফ। এরপর থেকেই ইমরান খান নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন।