Philippines Typhoon Update: দেওয়ালে লিখে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন স্থানীয়-পর্যটকরা! শক্তিশালী টাইফুনে মৃত কমপক্ষে ২০০

Over 200 dead in Philippines Typhoon: স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারগুলি ঝড়ের দাপটে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িরই ছাদ উড়ে গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটিও। ২০১৩ সালে সুপার টাইফুন হাইয়ানের জেরে যেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, এবারও টাইফুন রাই-এ একই প্রকারের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।

Philippines Typhoon Update: দেওয়ালে লিখে সাহায্যের আর্তি জানাচ্ছেন স্থানীয়-পর্যটকরা! শক্তিশালী টাইফুনে মৃত কমপক্ষে ২০০
এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকার্য। ছবি: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 8:56 AM

ম্যানিলা: আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। শক্তিশালী টাইফুনে (Typhoon) বিধ্বস্ত ফিলিপিন্সে (Philippines) মৃতের সংখ্য়া একলাফে ৭৫ থেকে বেড়ে দাঁড়াল ২০৮-এ। সোমবারই স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, টাইফুন রাই(Typhoon Rai)-র জেরে গোটা দেশ লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে কমপক্ষে ২০৮টি মৃতদেহ। এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকার্য।

গত বৃহস্পতিবারই ফিলিপিন্সে আছড়ে পড়ে টাইফুন রাই। বৃহস্পতিবার যখন টাইফুনটি আছড়ে পড়ে, তখন তার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৯৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। চলতি বছরের সবথেকে শক্তিশালী টাইফুন মনে করা হচ্ছে এটিকে। ঝড়ে সবথেকে বিধ্বস্ত হয় দক্ষিণ ও মধ্য আর্চিপেলাগো অঞ্চল। দুদিন পর উদ্ধারকার্য শুরু করা হয়। রবিবারই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, কমপক্ষে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সোমবার পুলিশের তরফে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হলে জানা যায়, ঝড়ে কমপক্ষে ২৩৯ জন আহত হয়েছেন এবং ৫২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২০০-রও বেশি মানুষের। ঝড়ের দাপটে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে গোটা দ্বীপই। প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি মানুষকে বাড়ি ছেড়ে  ত্রাণ শিবির ও অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল ও কমিউনিটি সেন্টারগুলি ঝড়ের দাপটে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অধিকাংশ বাড়িরই ছাদ উড়ে গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটিও। ২০১৩ সালে সুপার টাইফুন হাইয়ানের জেরে যেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, এবারও টাইফুন রাই-এ একই প্রকারের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। উল্লেখ্য, টাইফুন হাইয়ানে ৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বোহলের গভর্নর আর্থার ইয়াপ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান, কেবল তাদের শহরেই ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টির কারণে, আহত হয়েছেন ১৩ জন। বৃহস্পতিবার টাইফুনটি আছড়ে পড়লেও, তার প্রভাব এখনও রয়ে গিয়েছে,  এখনও অবধি ১০জনের খোঁজ মিলছে না বলে জানা গিয়েছে।

ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সিয়ারগাও, দিনাগাত ও মিনদানাও দ্বীপ। দিনাগাত দ্বীপেও কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  সিয়ারগাও দ্বীপে প্রচুর পর্যটক আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেখানে ব্যপক মাত্রায় খাদ্য ও জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রাস্তার ধারে, বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের আর্তি জানিয়ে পোস্টার লাগানো হয়েছে।

ঝড়ের দাপটে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারকার্যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে এই কারণে। তবুও সেনাবাহিনী, পুলিশ ও উপকূলরক্ষী বাহিনী জোরদকদমে উদ্ধারকার্য চালানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনী ও নৌবাহিনী ছোট ছোট নৌকায় খাদ্য, জল ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে বন্যা দুর্গত জায়গাগুলির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। রাস্তা সাফ করার জন্যও ভারী মেশিনও ব্যবহার করা হচ্ছে।