Kohinoor: রানি ক্যামিলা কি পাবেন না কোহিনুরের মুকুট? সতর্কতা বিজেপির, চিন্তায় বাকিংহাম প্যালেস
ব্রিটেনের নয়া কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার কপালে কোহিনুর হিরাখচিত মুকুট নাও জুটতে পারে। বিজেপির সতর্কতার পর নতুন করে ভাবতে বাধ্য হল বাকিংহাম প্যালেস।

নয়া দিল্লি: যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের মৃত্যুর পর, কোহিনুর হিরা ভারতে ফেরানোর দাবি তুলেছিল ভারতীয়রা। সেই দাবি না মানলেও, নয়া কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার কপালে কোহিনুর হিরাখচিত মুকুট নাও জুটতে পারে। আগামী বছরের মে মাসে নয়া রাজা-রানির রাজ্যাভিষেক হবে। দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রচিবেদন অনুসারে, সেই সময়ে নয়া রানি ক্যামিলা, মূল্যবান হিরাখচিত মুকুটটি পরবেন কি না, সেই বিষয়ে বিচার-বিবেচনা করছে বাকিংহাম প্যালেস। সূত্রের খবর, মূলত ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি-র সতর্কতা মেনেই নতুন করে বিষয়টি বিবেচনা করছে ব্রিটিশ রাজপরিবার। এর আগে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি কর হয়েছিল, কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার মাথায় কোহিনুর উঠলে, তা ভারতীয়দের মনে ঔপনিবেশিক অতীতের বেদনাদায়ক স্মৃতি উসকে দিতে পারে।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের মধ্যে, কোহিনুর খচিত মুকুটটি শেষবার পরেছিলেন রাজা ষষ্ঠ জর্জের স্ত্রী ‘দ্য কুইন মাদার’ এলিজ়াবেথ। মুকুটটিতে মোট ২,৮০০টি হিরা রয়েছে। তবে, মুকুটটির শোভা অনেকগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে কোহিনূর। সামনের ক্রসে স্থাপন করা হয়েছে ১০৫-ক্যারেটের এই হিরা। ২০২৩ সালে রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকের সময় কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা কোহিনূর-খচিত এই মুকুটটি পরবেন বলে ঠিক করা হয়েছিল। তবে, ভারতীয়দের ভাবাবেগে আঘাত না দিতে, কুইন কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের সময় মুকুটটি থেকে কোহিনূর হিরাটি খুলে রাখা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যথায়, নয়া রাজা-রানী রাজপরিবারহের সংগ্রহে থাকা, অন্য কোনও মুকুটও ব্যবহার করতে পারেন।
এর আগে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, কোহিনূর হিরাটির উপর একমাত্র ভারতের অধিকার রয়েছে। তাই ব্রিটিশ রাজার রাজ্যাভিষেকে এই হিরা ব্যবহার করা উচিত নয়। রাজ্যাভিষেকের সময়ে মুকুটে কোহিনুর রত্নের ব্যবহার ঔপনিবেশিক অতীতের বেদনাদায়ক স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে। পাঁচ থেকে ছয় প্রজন্ম ধরে ভারতীয়রা একাধিক বিদেশী শাসনের অধীনে ছিল। কিন্তু, বর্তমানে অধিকাংশ ভারতবাসীর মনে সেই পরাধীনতার স্মৃতি নেই বললেই চলে। কিন্তু, নতুন রানী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকের সময় কোহিনূর হিরা ব্যবহার করা হলে তা ভারতীয়দের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই সতর্কতা জারি করার পরই, রাজ্যাভিষেকে কোহিনূর ব্যবহার করা না করার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হয়েছে। অতি সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব সুয়েলা ব্রেভারম্যান ভিসাপুরিয়ে যাওয়ার পরও যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়া ভারতীয়দের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি তুলেছেন। ব্রেভারম্যানের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। ফলে, ভারত ও যুক্তরাজ্যের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ভবিষ্যত নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তাই এই অবস্থায় রাজ্যাভিষেকে কোহিনূর হিরা-খচিত মুকুটটি ব্যবহার করে নতুন করে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে না ব্রিটেন।
