সময় নষ্ট করছে না মার্কিন সেনা, আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই এয়ারস্ট্রাইক বাইডেন বাহিনীর
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সতর্কবার্তা অনুযায়ীই ফের একবার বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। যেই অংশে হামলা চালানো হবে, সেখানে হামলাকারীদের গাড়িও পৌঁছে যায়। ভিতরে উপস্থিত ছিলেন এক আত্মঘাতী বোমারু।
কাবুল: জবাব দিতে সময় লাগাল না মার্কিন বাহিনী। রবিবার কাবুল বিমানবন্দরের কাছেই রকেট হামলার পরই এয়ারস্ট্রাইক চালাল মার্কিন বাহিনী। তালিবান সূত্রে দাব, এ দিন বিকেলেই ফের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে। একটি গাড়িও পৌঁছে গিয়েছিল লক্ষ্যকেন্দ্রে, ভিতরে উপস্থিত ছিল এক আত্মঘাতী বোমারু। ওই গাড়ির উপরই এয়ারস্ট্রাইক চালায় মার্কিন বাহিনী।
এ দিন বিকেলেই খবর মেলে, ফের বিস্ফোরণ হয়েছে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে। কাবুলের খাওজা বুঘরা জেলার গুলাই অঞ্চলে রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। জন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাড়িতে রকেট হামলা চালানো হয়, এক শিশু সহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০জন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকেও দুই মার্কিন বাহিনীর সদস্য জানিয়েছেন, আমেরিকার তরফে মিলিটারি স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ওই দুই মার্কিন সেনা জানায়, ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইসিস-কে জঙ্গিদেরই লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। প্রাথমিক সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই কাবুলের হামিদ কারজ়াই বিমানবন্দরের অ্যাবেই গেটের কাছে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। প্রথম বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট বাদেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয় বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত ব্যারন হোটেলের সামনে।
আত্মঘাতী ওই বিস্ফোরণে প্রায় ২০০ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির। ঘটনার দায় স্বীকার করে নেয় ইসলামিক স্টেট খোরাসান বা আইসিস-কে সংগঠন।
ওই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পরে হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিক বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের কাউকে ক্ষমা করা হবে না। সকলকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ভয় না পেয়ে উদ্ধারকার্য জারি রাখা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
বাইডেন যে বদলা নেওয়ার কথা বলেছিলেন, তা শুক্রবারই পূরণ করেছে আমেরিকা। ইসলামিক স্টেট-খোরাসান-র উপর হামলা চালায় মার্কিন ড্রোন। সেই হামলায় দুই আইসিস শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে। তবে প্রত্যাঘাত এখানেই থেমে থাকবে না, তা আগেই জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও। তালিবান সহ সমস্ত জঙ্গি সংগঠনকেই সতর্ক করে তিনি বলেছিলেন, মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা চালালে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না তারাও। পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। সেই বদলাই কি নিচ্ছে মার্কিন বাহিনী? আরও পড়ুন: বাইডেনের আশঙ্কাই সত্যি! কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে রকেট হামলা, বিস্ফোরণে মৃত কমপক্ষে ২