Putin on Ukraine Attack: জেলেনস্কির প্রস্তাবে সাড়া, আলোচনায় বসতে রাজি পুতিন! তবে শর্ত একটাই…
Russia-Ukraine Conflict: ক্রেমলিনের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ইউক্রেনীয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে রাজি রাশিয়া। একইভাবে যে সমস্ত দেশ ইউক্রেনে শান্তি চায়, তাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে রাজি আছে রাশিয়া।"
মস্কো: বিগত ১০ দিন ধরেই ইউক্রেন(Ukraine)-র উপরে লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া(Russia)। ইতিমধ্যেই দখল করে নিয়েছে খেরসন শহর। রাজধানী কিয়েভ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলের জন্যই ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনা। তবে ইউক্রেনের শহরগুলির উপর লাগাতার গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া, এ কথা মানতে নারাজ খোদ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)-ই। শুক্রবারই জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ়(Olaf Scholz)-র সঙ্গে ফোনে বার্তালাপ চলাকালীন পুতিন দাবি করেন যে রাশিয়া মোটেও ইউক্রেনের শহরের উপরে গোলাবর্ষণ করছে না, এই খবর ভুয়ো। শুক্রবার ক্রেমলিনের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, পুতিন জার্মান চ্যালেন্সরকে বলেছেন, “কিয়েভ ও অন্যান্য বড় শহরে এয়ার স্ট্রাইক চালানোর যে দাবি করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। নিজেদের নামে প্রচার চালানোর জন্য এই কাজ করা হচ্ছে”। প্রেসিডেন্ট পুতিন যে ইউক্রেনের সঙ্গে কথা বলতেও আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাও জানিয়েছে ক্রেমলিন। তবে রাশিয়ার তরফে যে দাবিগুলি রাখা হয়েছে, তা পূরণ করলেই এই আলোচনা সম্ভব, তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পুতিন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারই পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, “যদি রাশিয়ার বাহিনীর হাতে ইউক্রেন চলে যায়, তবে বাল্টিক দেশগুলিই পরবর্তী নিশানা হতে পারে। এই যুদ্ধ থামানোর একমাত্র উপায় হল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। পুতিনকে বলছি, আমার সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় বসুন, আমি আপনাকে কামড়াব না, আপনার এত ভয় কীসের?”
ক্রেমলিনের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইউক্রেনীয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে রাজি রাশিয়া। একইভাবে যে সমস্ত দেশ ইউক্রেনে শান্তি চায়, তাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসতে রাজি আছে রাশিয়া। তবে রাশিয়ার সমস্ত শর্ত মানতে হবে, এরপরই বৈঠক সম্ভব।”
উল্লেখ্য, রাশিয়ার তরফে যে শর্তগুলি রাখা হয়েছে, তার মধ্যে অন্য়তম হল ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান ও পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। এছাড়া ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসাবে মেনে নেওয়া ও পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন অংশে সার্বভৌমতা বজায় রাখা।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গত সপ্তাহে প্রথম দফার বৈঠকের পর, চলতি সপ্তাহেই দ্বিতীয় দফায় বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেন। প্রথম দফার বৈঠকে বিশেষ কোনও সমাধানসূত্র না মিললেও, দ্বিতীয় দফার বৈঠকে সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তার কথা ভেবে দুই দেশই মানবিক করিডর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছে, সপ্তাহ শেষেই ফের একবার আলোচনায় বসার কথা রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের। তৃতীয় দফার বৈঠকে কিয়েভের প্রতিনিধি একটি দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক অবস্থান গ্রহণ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে, এমনটাই বার্তা দিয়েছে ক্রেমলিন।