ত্রিপোলি: শক্তিশালী ঝড় ও বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত লিবিয়া (Libiya)। গত কয়েকদিনে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টিতে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫০ জনের। আবার উদ্ধারকাজে নেমে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন ৭ সেনাকর্মী। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্কুল, কলেজ, অফিস থেকে তেল বন্দরও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে পূর্ব লিবিয়ায় জরুরি (Emergency) অবস্থা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
সপ্তাহান্তেই উত্তর আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আছড়ে পড়ে শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েল। তবে এই ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল। প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে অতিরিক্তি বৃষ্টিপাতও হয়। যার জেরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লিবিয়া প্রশাসনের মুখপাত্র মহম্মদ মাসুদ জানান, শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েল ও তার জেরে হওয়া বৃষ্টির প্রভাবে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর উদ্ধারকাজে নেমে লিবিয়ার ৭ সেনাকর্মী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।
শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েল-এর জেরে মূলত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজি ও সুসে, দেরনা ও আল-মারজ বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতা বানভাসী হয়েছে। শহরের বানভাসী পরিস্থিতির বেশ কিছু ছবি ও ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে দেখা যাচ্ছে, জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছেন ব্যক্তিও। আবার বিলাসবহুল গাড়ির ছাদটুকু কেবল দেখা যাচ্ছে। বাকি অংশ জলের নীচে। গাড়ির ছাদে কয়েকজন বসে রয়েছে।
ঝড় ও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং দুর্গতদেক উদ্ধারের ব্যাপারে সবরকম সহায়তা করার ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ দ্বইবা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্কুল, কলেজ, অফিসের পাশাপাশি চারটি তেল বন্দরও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে রাষ্ট্রসঙ্ঘও।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে গ্রিস, তুরস্ক ও বুলগেরিয়ায় আছড়ে পড়েছিল ড্যানিয়েল ঝড়। এক ডজনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এরপর ঝড়টি মিশরের পশ্চিমাঞ্চলের দিকে এগোচ্ছে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরেই এই ধরনের ঝড়ের উৎপত্তি বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা।