Bangladesh: ছাত্রদের গর্জনে ফুঁসছে বাংলাদেশ, ইউনূসের বাসভবনের দিকে পা বাড়াতেই জুটল পুলিশের লাঠিপেটা
Bangladesh Protest: পডুয়ারা যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার দিকে অভিযান শুরু করে, তখন পুলিশ তাদের আটকাতে রণমূর্তি ধারণ করে। সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, লাঠিপেটার অভিযোগ ওঠে। কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন পডুয়া আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

ঢাকা: বাংলাদেশে শান্তি যেন ফিরছেই না। দফায় দফায় আন্দোলনে বারবার উত্তপ্ত হচ্ছে ওপার বাংলা। বাংলাদেশে ফের একবার উঠল কোটা অবসানের ডাক। এবার লং মার্চ টু ঢাকা অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল। দফায় দফায় সংঘর্ষে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অনেক পড়ুয়া আহত হয়েছেন। শাহবাগে এসে আন্দোলনকারীদের কাছে ক্ষমা চান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার।
সরকার বদলেছে, কিন্তু বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের ছবিটা একই রয়ে গিয়েছে। গত বছর কোটা সংস্কারের দাবি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল ছাত্র-যুবরা, এবার ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে পথে নামতে বাধ্য হল তারা।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার, ২৭ অগস্ট আন্দোলনকারী সকাল ১১টা নাগাদ শাহবাগ মোড় ঘেরাও করে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ারা। স্লোগান দেন ‘অবৈধ ডিপ্লোমা কোটা অবসান চাই’, ‘কোটাপ্রথা ভেঙে দাও, মেধাবীদের অধিকার ফিরিয়ে দাও’।
এরপর দুপুর দেড়টা নাগাদ পডুয়ারা যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনার দিকে অভিযান শুরু করে, তখন পুলিশ তাদের আটকাতে রণমূর্তি ধারণ করে। সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান, লাঠিপেটার অভিযোগ ওঠে। কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন পডুয়া আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশের মারধরের পর পড়ুয়ারা ফের শাহবাগে জড়ো হয়। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা শাহবাগেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন নিজেদের তিন দাবি জানিয়ে। শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শেখ মহম্মদ সাজ্জাত আলি এসে তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং পুলিশের ভূমিকায় দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চান। আজ, বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
তাঁর প্রতিশ্রুতিতে আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছাড়লেও আন্দোলন চলবে বলেই জানানো হয়েছে। আজ সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কর্মসূচি পালন করা হবে। কোনও ক্লাস, পরীক্ষায় বসবেন না তারা। বুয়েট কর্তৃপক্ষের তরফেও পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মূলত তিনটি দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এগুলি হল, প্রথম- নবম গ্রেড সহকারী প্রকৌশলী পদে কেবল পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ ও ন্যূনতম যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার করা। দ্বিতীয়- দশম গ্রেডে বর্তমানে শুধু ডিপ্লোমাধারীরা আবেদন করতে পারেন, সেখানে উচ্চ ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করার ব্যবস্থা এবং তৃতীয়-শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং যাঁরা সম্পন্ন করবেন, তাঁরাই যেন প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) লিখতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা।

